দেশের ব্যাংকগুলোতে স্বল্পমেয়াদি আমানতের পরিমাণ বেশি বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘এই খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিলে সমস্যা তৈরি হয়। এজন্য দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার দরকার ছিল। তবে দেশের পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়নি।’ বৃহস্পতিবার (২ মে) ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরাসউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দেশের ঋণ খেলাপি, কর খেলাপি এবং অর্থপাচার একই সূত্রে গাথা। ঋণ পুনঃতফসিল করার কারণে ব্যাংকে অর্থের টান পড়েছে। এর জন্য বন্ডের মাধ্যমে টাকা ছাপিয়ে অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। যার ফলে মূল্যস্ফিতি কমছে না। তাই শক্ত হাতে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। এই বিষয়গুলো নীতি নির্ধারকদের বোঝানোর মত একটা লোক প্রয়োজন।’
সাবেক এই গভর্নর আরও বলেন, ‘দেশের সবাই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। কিন্তু কেউ অনেক বেশি আবার কেউ একেবারেই কম। আগের তুলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবক্ষয় হয়েছে সেটার সাথে আমি একমত। কেন যেন অর্থ পাচারের ব্যাপারে সরকার এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) নিরব। কিন্তু এটা দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।’দেশের ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে তিনি বলেন, খেলাপি ওয়ালারা যদি অনেক বড় হয়ে যায় তাহলে সমস্যা। ১০ হাজার টাকার কৃষি ঋণ নিয়ে খেলাপি হলে তাকে জেলে ঢোকাবো, কিন্তু ১০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি হলে তাকে সালাম ঠুকবো এটা হতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ঋণগুলো অবশ্যই আদায় করা উচিত।’
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘কিছু অসাধু খাদ্য কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা কারচুপি করছে। যার ফলে দেশে খাদ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। তাই চাইলেও সরকার খাদ্য মূল্যস্ফীতি বা ফুড ইনফ্লেশন কমাতে পারছেন না।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই/