লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণ ঠেকাতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামুদ্রিক সামরিক জোটের মিত্ররা তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। টাস্ক ফোর্স গঠনের সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাইডেন মিত্রদের কাছে যতটা অংশগ্রহণ আশা করছিলেন প্রকাশ্যে ততটা অংশগ্রহণ করছে না কেউই। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে জোটের অন্যতম সদস্য ইতালি ও স্পেন সামুদ্রিক জোট থেকে নিজেদের দূরে রাখার জন্য বিবৃতি জারি করেছে। তবে এর আগে পেন্টাগন বলেছে অন্তত ২০ টিরও বেশি দেশের প্রতিরক্ষা জোট অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সপ্তাহান্তে দেখা যাচ্ছে এর বিপরীত চিত্র ।
এই দেশগুলোর প্রায় অর্ধেকরও বেশি এখনও পর্যন্ত জোটে তাদের অংশগ্রহণ স্বীকার করেনি। মূলত জোটে অংশগ্রহণ করা দেশগুলো সামরিকজান, নিজস্ব সামরিক বাহিনী ও অর্থ দিয়ে লোহিত সাগরে হুতিদের প্রতিরোধে করবে।
মূলত গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় এখন পর্যন্ত ২১ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। মূলত বিশ্বব্যাপী এ সমালোচনার কারণেই দেশগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে না। এদিকে ইয়েমেনের যোদ্ধারা বারবারই লোহিত সাগরে হামলার পেছনে গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে দায়ী করছে।
এদিকে মাদ্রিদের কমপ্লটেন্স ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড হার্নান্দেজ বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপক ভাবে তাদের ভাবাচ্ছে। কারণ ইসরায়েলের হামলার ফলে তাদের দেশের ভোটেও প্রভাব পড়তে পারে। ফলে লোহিত সাগরে সক্রিয় অংশগ্রহণ হিতে-বিপরীত হতে পারে এমন ভাবনা থেকেই এ জোট থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছে দেশগুলো।
গত ১৯ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হুতিরা ডজনের বেশি সামুদ্রিক বাণিজ্য জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এদিকে শিপিং কোম্পানি মারসক শনিবার বলেছে তারা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে শিপিং কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কেপ অফ গুড এর জলপথ ব্যবহার করে কন্টেইনার পরিবহন শুরু করেছে। আর নতুন এ পথে যাতায়াতের জন্যে নতুন করে পরিবহন খরচও যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে জার্মানির হ্যাপাগ লয়েড বুধবার বলেছিলেন লোহিত সাগর এখনো বিপজ্জনক একটি সামুদ্রিক পথ।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/