১৭ জুন ২০২৪, সোমবার



শিল্প-সাহিত্য
প্রিন্ট

শব্দেরা হেসে ওঠে ভেঙে অভিধান

জামসেদ ওয়াজেদ || ০৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:০০ এএম
শব্দেরা হেসে ওঠে ভেঙে অভিধান


শব্দেরা হেসে ওঠে ভেঙে অভিধান
(উৎসর্গ : কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন)
হেমন্ত ভোরের মতো হিমহিম শীতল পরশে
ঠিক যার আগমন; আমি তাকে খুব ভালো চিনি
কবিতা কবিতা করে বেড়ে ওঠে সেতো প্রতিদিনি
প্রাণ তার মিশে থাকে চেনা জানা সবুজ সরষে 

মিথের নগর জুড়ে উড়ে যায় চিন্তার শালিক
স্বদেশ প্রকৃতি ছায়া খুঁজে পাই তত্ত্বের বিতানে
সাগগ্রিক দৃশ্যপট হেসে ওঠে কাব্য অভিজ্ঞানে
আপন চিন্তার ঘরে চাষ হয় ভূমি পাললিক

এ ভূমি কবির জন্য; এই ভূমি প্রিয় কবিতার
এখানে কবিরা আসে প্রকৃতির সরল নিয়মে
কবিতার সৃষ্টি হয় অনন্তের ব্যথা কমে কমে
এভাবেই দৃশ্য এঁকে তার স্বপ্ন শব্দের সাঁতার

এই ভাবে ক্রমাগত সে শোনায় রোদের বয়ান
ঘুমন্ত শব্দেরা তাই হেসে ওঠে ভেঙে অভিধান

খলসের সাদাপেট
আহারে সুন্দর তুমি মটরের কচি কচি সবুজ লতাটি
তামাটে বুকের চরে স্বপ্ন ছুঁয়ে বেড়ে ওঠো সাহসী নির্ভয়ে
হেমন্ত দিনের ছায়া সাথী করো জীবনের দুঃখ কষ্ট সয়ে
তোমার সরল চোখে আমার সবুজ দেশ করে হাটাহাটি

নবান্ন আবেগে মন ছুটে চলে সরিষার সবুজ বাগানে
দারুণ সুন্দর তুমি হেমন্তের মেঘে ভাসা আমার আকাশ
কবির চিন্তার ফুল কল্পনায় জাগরুক তুমি তিন তাস
অনন্য ঋতুর মতো এই আমি চেয়ে থাকি যার মুখ পানে

ঝম্ঝম্ খাল জুড়ে কৈ শিং শরপুটি মাগুর সময়
খলসের সাদাপেটে জলডুবে ছুঁয়ে যায় এ শীতল হাত
রসনার সরলতা শৈলদের দৈরাত্বের ঘুম ভাঙা রাত
এভাবে আমার গ্রাম সুন্দর তোমার মতো হতে থাকে ক্ষয়

ফের যদি দেখা হয় চিনবো না দু’জনে তো ঠিক দু’জনাতে
তথাপিও খুঁজে যাবো নিশিদিন অহরাত্রি শিশির প্রভাতে

কষ্টকলি
নিজেকে গুটিয়ে রেখে কী সুন্দর হেটে চলে যাও
অথচ কুয়াশা ভোরে প্রসাধনী সুরভী আকাশ
তোমাকে লুকিয়ে রাখে হিমহিম শীতল চাদরে
মোহিনী মুখের পানে এই মন নিখোঁজ রয়েছে

ব্যস্ততম নগরীর এ যান্ত্রিক কল-কোলাহলে
নীরবে নীরবে তুমি সয়ে যাও কত অনুভূতি
আমার সকল দুঃখ তোমারই এ পার্টসে রাখা
অবিশ্বাস! খুলে দেখ এ পার্টস বুকের কপাট

পথগুলো তোমাকেই দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে ওঠে
সেঁজুতি আমার কাছে মুহূর্তের পথ শুধু নয়
আরো আরো বহু কিছু হতে পারে জারুল সময়
আমার অতীত কারা এই ভাবে নিয়ে গেছে লুটে

কল্পনার দোর খুলে এই তুমি ঠিক কষ্টকলি
যে তুমি বোঝ না ঠিক কার জন্য এই পদাবলী



আরো পড়ুন