দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম দিনদিন কমে আসছে। এতে আমাদের জন্য সুবিধা হচ্ছে। তবে ৪০ টাকা কেজি হলে আরও ভালো হতো। আর বিক্রেতারা বলছেন, বেশকিছু ধরেই প্রতিদিন বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। তাই দাম কমে এসেছে। এক সপ্তাহ আগেই পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) হিলি বাজারে কথা হয় ক্রেতা মো. রফিক উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গতকাল বাজারে এসেছিলাম অন্য পণ্য কিনতে। দেখি দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই ১০০ টাকা দিয়ে ২ কেজি কিনলাম। কাঁচা বাজার তো বলা যায় না। আবারও কখন বাড়ে।’
আরেক ক্রেতা মো. জামিল হোসেন বলেন, ‘আমি গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনি ৭০ টাকা কেজি দরে। আর আজ (২৮ মার্চ) কিনলাম ৫০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা কেজি হলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য আরও একটু ভালো হতো।’
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। গতকাল (২৭ মার্চ) প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি ৫৬ টাকা দরে কিনে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর আজ ৪৬ টাকা কেজি কিনে ৫০ টাকায় করছি।’
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. জাহিদ হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই দামও কমে আসছে। আজ সকালে প্রতিকেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৪০ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আর বিক্রি করছি ৪৬ টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতারা হয়তো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।’
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘এখন দিন যতই যাবে, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ততই বাড়বে। দামও কমে আসবে। গেলো সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৬০ টাকা ওপরে কিনতে হয়েছে, এ সপ্তাহে সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। কাঁচাপণ্যের বাজার তো কখন কী দাম যায়, বলা মুশকিল।’
ঢাকা বিজনেস/এনই