২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

ফেসবুক-গুগলকে করের আওতায় আনার সুপারিশ সিপিডির

স্টাফ রিপোর্টার || ২৯ এপ্রিল, ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম
ফেসবুক-গুগলকে করের আওতায় আনার সুপারিশ সিপিডির


ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য গ্লোবাল টেক জায়ান্ট কোম্পানিকে পুরোপুরি করের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি কর বিষয়ক এক গবেষণায় এই সুপারিশ উঠে এসেছে। 

শনিবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকায় সিপিডি আয়োজিত ‘ট্যাক্সিং দ্য ডিজিটাল ইকোনমি : ট্রেড অফ এন্ড অপরচুনিটিজ’ বিষয়ক সংলাপে এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। 

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণা সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, ‌‘ফেসবুক, গুগলসহ বিশ্বের বড় বড় টেক জায়ান্ট কোম্পানির নিকট থেকে ভ্যাট আদায় করা গেলেও আয়কর আদায় করা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশে তাদের অফিস না থাকায় কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেই। ফলে আয়কর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ বিশ্বের বড় বড় এসব টেক জায়ান্ট প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল অংকের অর্থ আয় করছে।’ এসব প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি করের আওতায় আনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণের সুপারিশ করেন তিনি। 

 তিনি আশা করেন আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআর এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য গ্লোবাল টেক জায়ান্ট কোম্পানিকে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর প্রায় ২০০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। কিন্ত এর বিপরীতে প্রদেয় কর আমরা পাচ্ছি না।’ 

তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে নতুন নতুন এসব সেবার বিপরীতে করারোপ করতে হবে। সরকারের ভিশন অনুযায়ী দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে দেশে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর বিকল্প নেই।’  

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ডিজিটাল অর্থনীতির আরও কীভাবে প্রসার ঘটানো যায়, সেজন্য সুচিন্তিত উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি। প্রতিবছর যদি কর অব্যহতি চলতে থাকে, তাহলে দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় বাড়াবো কীভাবে। সেজন্য যেসব জায়গায় কর অব্যহতি আছে-তার কিছু জায়গায় ধাপে ধাপে কর আরোপ করতে হবে। সে বিষয়ে একটা রোডম্যাপ থাকাটা জরুরি।’

একইসঙ্গে তিনি স্টার্টআপ কোম্পানির প্রসারের জন্য তাদেরকে ইনসেনটিভ দেওয়ার সুপারিশ করেন। তবে এও বলেন, ‘স্টার্টআপকে এমনভাবে ইনসেনটিভ দিতে হবে, তারা যেন নতুন নতুন খাত তৈরি করে। যার ফলে কর আহরণের নতুন জায়গা তৈরি হবে। ডিজিটাল ইকোনমির কিছু জায়গায় দ্বৈত কর বিদ্যমান রয়েছে। এসব পরিহার করতে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি ই-কমার্স, ই-বিজনেস প্রসারে নীতি সহায়তা প্রদানের সুপারিশ করেন।

সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও আহসান আদেলুর রহমান, সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্ষ ও নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বেসিস পরিচালক হাবিবুল্লাহ এন করিম বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় সিপিডি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন