১৯ মে ২০২৪, রবিবার



হিলিতে কমেছে আঙুরের দাম, তবে

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১১:০২ এএম
হিলিতে কমেছে আঙুরের দাম, তবে


দিনাজপুরের হিলিতে আঙুরের দাম কমেছে কেজিতে ১৫০ টাকা। ১ মাস আগে প্রতিকেজি আঙুর ৪০০  টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এতে ক্রেতারা খুশি।  বিক্রেতা বলছেন, আমরা ১ মাস আগেও ৪০০ টাকা নিচে আঙুর বিক্রি করিনি। কিন্তু এখন মোকাম থেকে কম দামে আঙুর কিনতে পারছি বলেই কম দামে বিক্রি করছি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হিলি বাজারে আঙুর ক্রেতা–বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। 

রোগীর জন্য আঙুর কিনতে আসা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বয়োবৃদ্ধ এক আত্মীয় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। মাঝেমধ্যে তাকে দেখতে যেতে হয়। তাই কখনো আপেল, কখনো কমলা আবার কখনো আঙুর নিয়ে যাই। ১ মাস আগে আঙুর কিনি ৪০০ টাকা কেজি দরে। আর আজ  বিকেলে কিনলাম ২৫০ টাকা কেজি দরে। দাম কমাতে খুব ভালো লাগলো।’

আঙুর ফল কিনতে আসা মো. জাফর হোসেন বলেন, ‘আঙুরের দাম কমেছে ঠিকই । কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য। হিলিতে স্থলবন্দর থাকলেও এই বন্দর দিয়ে আঙুরসহ কোনো ফল আমদানি হয় না। হিলিতে যেসব ভারতীয় ফল পাওয়া যায়, সেসব ভোমরা, সোনামসজিদ, বেনপোলসহ অন্যান্য বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়।’ 

জাফর হোসেন আরও বলেন, ‘ওইসব বন্দর দিয়ে আমদানি করা ফল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হিলিতে আসে। এতে পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খরচ বেশি পড়ে। তাই বেশি দামে কিনতে হয় আমাদের। আর হিলিবন্দর দিয়ে এসব ফল আমদানি হলে আমরা আরও কম দামে কিনতে পারতাম।’ 

আঙুরসহ বিভিন্ন ফল বিক্রেতা নেপাল চন্দ্র বলেন, ‘বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আঙুর, কমলা, আপেল আমদানি হয়ে প্রথমে বগুড়ায় আসে। এরপর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। আমি জয়পুরহাট থেকে এসব ফল কিনে নিয়ে আসি।’

নেপাল চন্দ্র আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতি ক্যারেট (২০ কেজি) জয়পুরহাট থেকে কিনে নিয়ে আনি ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে। এতে প্রতিকেজির দাম দাঁড়ায় ২২৫ টাকা। এরমধ্যে অনেক সময় ওজনে কম হয়। যাওয়া-আসা খরচ সবমিলিয়ে ২৩৫ টাকার মতো পড়ে। আর বিক্রি করছি ২৫০ টাকা কেজি দরে। ১ মাস আগে প্রতি ক্যারেট (২০ কেজি) আঙুর কিনতে হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা দরে। তাতে প্রতিকেজি আঙুরের দাম পড়তো ৩৭৫ টাকা। আর বিক্রি করতাম ৪০০ টাকা কেজি দরে।’

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ ঢাকা বিজনেসকে বলেন,  ‘জাতীয় রাজস্ব রোর্ড (এনবিআর) ২০১৪ সালে হিলিবন্দর দিয়ে ফল আমদানিতে ট্রাকের চাকা অনুয়ায়ী শুল্কায়ন নির্ধারণ করায় আমদানিকারকেরা এই বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রেখেছেন।  এনবিআর হিলি বন্দর দিয়ে ফল আমদানির ক্ষেত্রে ৬ চাকার ট্রাকে ১৪  মেট্রিক টন, ১০ চাকার ট্রাকে ১৮ মেট্রিক টন আর ১২ চাকার ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন ফলের শুল্কায়ন করার আদেশ দেয়।’

হারুন উর রশিদ আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে একজন আমদানিকারক যদি ৬ চাকার ট্রাকে ১৪ মেট্রিক টনের নিচে ফল আমদানি করেন, তাহলেও তাকে ১৪ টন ফলের শুল্কায়ন দিতে হবে। এতে ওই আমদানিকারককে লোকসান গুনতে হবে। এ কারণে হিলিবন্দর দিয়ে কমলা, আপেল, আঙুর, আনার, কেনুসহ বিভিন্ন প্রকার ফল আমদানি বন্ধ  রেখেছেন আমদানিকারকেরা।’

ঢাকা বিজনেস/এনই 



আরো পড়ুন