২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



চীনে তুষারপাতে আটকা পড়েছেন ১ হাজার পর্যটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:৩১ এএম
চীনে তুষারপাতে আটকা পড়েছেন ১ হাজার পর্যটক


চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে একটি পর্যটন এলাকায় ব্যাপক তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কারণে ওই অঞ্চলে প্রায় এক হাজার পর্যটক আটকে পড়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এ তথ্য দিয়ে বলেছে, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাদের উদ্ধারের কাজে নামাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে তুষারধসের কারণে প্রায় ১ হাজার পর্যটক একটি প্রত্যন্ত ছুটির গ্রামে আটকা পড়েছেন। কাজাখস্তান, রাশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার সীমান্তের কাছে একটি মনোরম দৃশ্য সমৃদ্ধ হেমু গ্রামে যাওয়ার রাস্তার পর্যটকরা আটকা পড়েছিল। এখন বেশ কয়েকদিন ধরে তুষারধসের কারণে ওই অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামটি জিনজিয়াং এর আলতাই প্রিফেকচারে অবস্থিত।

সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক দিন ধরেই এই অঞ্চলটিতে ব্যাপক তুষারপাত হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই তুষারপাত স্থায়ী হতে পারে অন্তত ১০ দিন। জিনজিয়াংয়ের আলতাই প্রিফেকচারের অবস্থিত এই এলাকাটিতে ব্যাপক তুষারপাতের কারণেই এই তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। আলতাই পর্বতমালার মধ্য দিয়ে গ্রামটিতে যে রাস্তাটি গিয়েছে সেই রাস্তাটিতেও ব্যাপক তুষারধসের ঘটনার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

চীনা সম্প্রচারমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কোনো জায়গা তুষারধসের উচ্চতা প্রায় ৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে গিয়েছিল। এই উচ্চতা সাধারণত তুষার পরিষ্কারের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তার তুলনায় অনেক বেশি উঁচু। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার জুড়ে এই তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। কোনো বিঘ্ন না ঘটলে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে এই তুষার পরিষ্কার করতে।

এদিকে জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫৩ জন উদ্ধারকর্মী ও ৩১ ইউনিট বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতিসহ তুষার সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। জিনজিয়াংয়ের মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান জাও জিনশেং বলেছেন, ‘এই তুষারধসের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে আমাদের জন্য বিশেষ একটি পরিস্থিতি। আমরা এর আগেও বেশ ভারী তুষারপাত দেখেছি, তবে আমরা এত বেশি তুষারধস কখনো দেখিনি।’



আরো পড়ুন