যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে বিপর্যয় উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বাইডেন বলেছেন, বিদেশি পণ্য আমদানির উপর বিশাল শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের হুমকি একটি বড় ভুল। একইঙ্গে প্রস্তাবিত রাজস্ব হ্রাসের চিন্তা পরিত্যাগ করার জন্য রিপাবলিকানদের আহ্বান জানিয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটদের অধীনে জীবনযাপনের উচ্চ মূল্যে মার্কিন ভোটাররা নাখোশ বাইডেন প্রশাসনের ওপর। এ ক্ষোভের পিছনে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে জয় মনে করেন অনেকে।
ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে তার বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে যেনো তার প্রকল্প ২০২৫ ছুঁড়ে ফেলে দেন। আমি মনে করি এটি আমাদের এবং অঞ্চলের জন্য একটি অর্থনৈতিক বিপর্যয় হবে।
বাইডেন বিশেষ করে প্রতিবেশী মেক্সিকো, কানাডা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রতিদ্বন্দ্বী চীনা পণ্যে ওপর চড়া শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন।
৮২ বছর বয়স বাইডেন এমন সময়ে এ বক্তব্য দিলেন, যখন হোয়াইট হাউজে তার শাসনমাল ছয় সপ্তাহেরও কম সময় বাকি আছে।
বাইডেন তার বয়স নিয়ে উদ্বেগের কারণে জুলাই মাসে ট্রাম্পের বিপক্ষে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কাছে মশালটি দিয়েছিলেন, যাকে ট্রাম্প নভেম্বরের ভোটে স্বাচ্ছন্দ্যে পরাজিত করেন।
ট্রাম্পের ইতোমধ্যেই তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে মনোনীত ব্যক্তিতের নাম ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে নতুন মুদ্রা আনলে ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি মেক্সিকো, কানাডা ও চীন থেকে আমদানি হয়ে আসা পণ্যের ওপর বড় আকারে শুল্ক আরোপ করবেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর শুরুতেই এ ধরনের বাণিজ্য কৌশল হাতে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। এছাড়া ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রযোজ্য সকল শুল্কের সঙ্গে বাড়তি আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।