০২ জুন ২০২৪, রবিবার



ঘন কুয়াশায় চুয়াডাঙ্গায় বোরো বীজতলার ক্ষতির শঙ্কা

মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা || ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:০১ পিএম
ঘন কুয়াশায় চুয়াডাঙ্গায় বোরো বীজতলার ক্ষতির শঙ্কা


চুয়াডাঙ্গায় টানা তিন দিনের শৈত্যপ্রবাহ শেষে তাপমাত্রা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে কুয়াশার তীব্রতাও। সূর্যের দেখা না মেলায় সারাদিনই কুয়াশা থাকছে। আর বিকাল থেকে কুয়াশা বাড়তেই থাকে। এরপর সকালে কুয়াশার তীব্রতা প্রকট আকার ধারণ করছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন বেলা ১২টার পরও সূর্যের দেখা মেলেনি। প্রধান প্রধান সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। এরপর তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে সকাল ৯টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় এ জেলার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও কৃষি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এজন্য ১ হাজার ৮০৬ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। বীজতলা প্রস্তুতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭১৩ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৩ হেক্টর বেশি। ইতোমধ্যে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হলেও অতিরিক্ত বোরো বীজতলা থাকাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সহজ হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষকদের ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া এবং চারা রাতের বেলায় ঢেকে দেওয়া পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজতলা লাল হয়ে গেলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দিতে বলা হচ্ছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/




আরো পড়ুন