এসএমই খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের নতুন ধারণা নিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিভাগীয় এসএমই পণ্যমেলার সমাপনীতে এই আহবান জানান তিনি।
নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় এই আয়োজন ছিল। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গ্রিন প্লাজায় এ মেলা হলো।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘একই জিনিস যদি আমরা অন্যের দেখাদেখি করি সেটা কিন্তু সুপার হিট নাও হতে পারে। অতএব ভালো চলতে হলে, ভালো করতে হলে মান ভালো করতে হবে। তাহলেই কিন্তু সেই প্রডাক্ট বাজারে চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেন ভাবতে পারি, বুঝতে পারি এবং নিজের সীমানা যেন অতিক্রম করতে পারি তাহলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।’ এসএমই পণ্য মেলার মেয়াদ ১৫-২০ দিন করার এক প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হলে এই মেলার জৌলুস হারিয়ে যাবে।’
এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাপনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব মো. মশিউর রহমান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যেকোনো ক্ষুদ্র উদ্যোগ একসময় বৃহৎ আকারে আত্মপ্রকাশ করে। এসএমই ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলায় এই ধরনের মেলার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে ও তাদের উৎপাদিত পণ্য সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
বক্তারা আরও বলেন, হয়তো ভৌগলিক কারণে রাজশাহীতে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের তেমন একটা সুযোগ নেই কিন্তু এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন প্রজন্ম যদি ডিজিটাল উদ্ভাবনী ধারণাকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে তাহলে এই ধরনের মেলা সার্থক হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চারজন উদ্যোক্তার হাতে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের চেক তুলে দেন। উল্লেখ্য এবছর বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহীতেই প্রথম এসএমই পণ্য মেলা হয়।
ফেরদৌস/এম