রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া, গাজীপুর, সাভারসহ গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় বর্তমানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি’ (বিজিএমইএ)। এমতাবস্থায় আশুলিয়ার সব বন্ধ কারখানা বুধবার (১৫ নভেম্বর) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিজিএমইএ থেকে পোশাক শিল্পের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পোশাক কারখানাগুলোতে এখন পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার কোনো কারখানায় শ্রম অসেন্তোষের ঘটনা ঘটেনি। তবে একইসঙ্গে কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
সংগঠনটি আরও জানায়, তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আশুলিয়া এলাকার সব বন্ধ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরতে আগ্রহী। শ্রমিকরাও মালিকদের আশ্বস্ত করেছে, কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হলে তারা কারখানায় সুষ্ঠুভাবে কাজ করবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সব কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার পোশাক শ্রমিকদের জন্য ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম নতুন মজুরি ঘোষণা করে। শ্রমিকরা মজুরি আরও বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। শ্রমিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আশুলিয়া, মিরপুরসহ আরও কিছু জায়গায় একাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিজিএমইএ-এর আহবানে সাড়া দিয়ে শ্রমিকরা কাজে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করলে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার ৩টি পোশাক কারখানা ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার সব কারখানায় স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে বলে বিজিএমইএ জানিয়েছে।
সংগঠনটি জানায়, ঢাকায় মিরপুরের কিছু পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতে আলোচনা চলছে। শ্রমিকরা যদি কাজ করতে চায়, তাহলে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে।
বিজিএমইএ পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দিতে শিল্পাঞ্চলে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে। তবে জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কোনো শ্রমিক বা কর্মচারী এবং মালিক যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার অনুরোধ করেছে। সূত্র: বাসস
/ঢাকা বিজনেস/