বিশ্বকাপের ৩২তম ম্যাচে মাঠে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। বুধবার (১ নভেম্বর ) পুনেতে দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় নিউজিল্যান্ড। তবে ডিসিশনটা বোধহয় ভুলই হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারগণ মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছেন তাদের সামনে। জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে ৩৫৮।
এর আগে ৩৮ রানে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উইকেট। আঘাত হানেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ব্যক্তিগত ২৪ রান করে আউট হন বাভুমা। এরপর ব্ল্যাক ক্যাপখ্যাত নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর চড়াও হন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানেরা। ওপেনার কুইনট্ন ডি কক এবং ওয়ান ডাউনে নামা ডুসেন দ্রত রান তুলতে থাকেন। ১০৩ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান দক্ষিণ আফ্রিকার ড্যাশিং ওপেনার ডি কক। চলতি ওয়ানডে বিশ্বকাপে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। ইনিংসের ছত্রিশতম ওভারের শেষ বলে বোলার নিশামকে ছক্কা মেরে ১০০ রানে পৌঁছেন ডি কক। ডি কক আউট হন ১১৬ বলে ১১৪ রান করে। ৪০তম ওভারের শেষ বলে দ্বিতীয় উইকেট পরে দলীয় ২৩৮ রানে।
এরপর ১০১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক ব্যাটার ভ্যান ডার ডুসেন। ইনিংসের ৪১.৫ ওভারে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পান। তিনিও নিশামকে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এর আগে নিশামকে ছয় মেরে সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলেন ডি কক। সেঞ্চুরির পর ডুসেন ছিলেন পাগলা ঘোড়ার মতো। সপাটে ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তোলার দিকে ছিল তার নজর। ৪৭.১ ওভারে দলীয় ৩১৬ রানে গিয়ে আউট হন ডুসেন (তৃতীয় উইকেটের পতন)। তিনি ১৩৩ রান করেন ১১৮ বলে। ৫ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারিতে ওই রান করেন তিনি। আফ্রিকার চতুর্থ উইকেট পড়ে ৩৫১ রানে। ৫০তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন ডেভিড মিলার। ৩০ বলে ৫৩ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে পেয়েছেন একটি উইকেট। দুই উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি, ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৭৭। খরচে বোলার জেমস নিশাম পান মিলারের উইকেটটি; ৫.৩ ওভারে তিনি রান দিয়েছেন ৬৯, ওভার প্রতি ১৩ রানেরও বেশি।
তবে নিউজিল্যান্ডও ছেড়ে দেওয়ার মতো দল না। গতবারের রানার আপ নিউজিল্যান্ড এবার শিরোপার অন্যতম দাবিদার। তাদের ব্যাটেও এবার রানের খই ফুটছে। দেখা যাকে রানের দ্বৈরথে কার গাড়ি আগে দৌড়োয়।
এখন অব্দি এবারের বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকেই আছে দুই দল। ছয় ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ নম্বরে। সমান সংখ্যক ম্যাচে চার জয় নিয়ে নিউজিল্যান্ড আছে ঠিক তার পরেই। নিউজিল্যান্ডের তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রানরেটও অনেকটা ভালো পজিশনে।
এবারের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৫৪৫ রান করে সেরা সংগ্রাহক হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন ডি কক। তার এভারেজ রান ৭৭.৮৫। দ্বিতীয়স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, তার সংগহ ৪১৩। উইকেট সংগ্রহের দিক থেকে ১৬টি করে উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা এবং পাকিস্তানে শাহিন শাহ আফ্রিদি।
/ঢাকা বিজনেস/এনই/