দিনাজপুরের হিলিতে খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। ৩ দিন আগে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর রোববার (২৯ অক্টোবর) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছেন না। বিক্রেতরা বলছেন, বন্দর থেকেই বেশি দাম পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. ফজলুর রহমান বলেন,‘দুর্গাপূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল৭ দিন । অথচ বৃহস্পতিবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তারপর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমি তো দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। যখন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল তখন, কিনলাম ৬০ টাকা কেজি। আর আমদানি শুরুর পর কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি।’
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতরা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বন্দরেই বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এরআগে প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বন্দর থেকেই প্রকার ভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। আর বিক্রি করছি ১০০ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে আছে লেবারসহ পরিবহন খরচসহ।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত অভ্যন্তরেই পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই ভারতেই দাম বেড়েছে। আমাদের বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। ভারতে পেঁয়াজের সংকট না কাটা পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’
শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভারতে পেঁয়াজের সংকট কেটে গেলে দাম আবারও স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।’
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘দুর্গাপূজার পর থেকে হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। দুর্গাপূজার ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে ২৬ অক্টোবর ৬০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিদিনই হিলিবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই