০৪ মে ২০২৪, শনিবার



টাঙ্গাইলে রেকর্ড তাপমাত্রা, আছে লোড শেডিংও

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
টাঙ্গাইলে রেকর্ড তাপমাত্রা, আছে লোড শেডিংও


টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে টাঙ্গাইলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের না হলেও খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। গরমকে চরম ভোগান্তিতে নিয়ে গেছে বারবার লোড শেডিং। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় টাঙ্গাইলে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর-সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে টাঙ্গাইলের ওপর থেকে মাঝারি ও তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এদিকে, বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং যেন নিয়মে পরিণত হচ্ছে। শহর এলাকায় দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালা করে এলাকা ভিত্তিক দফায় দফায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রাম এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না।  চলতি বোরো মৌসুমে চাষের জমিতে পানি সেচ দিতে না পারায় ফলন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। টানা কয়েকদিনের তাপদাহে তীব্র গরম সইতে না পেরে প্রশান্তির আশায় কেউ ডিপ মেশিনে গোসল করছেন, আবার কেউ ঘন ঘন ঠাণ্ডা পানি ও ডাব খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছেন। স্বস্তি পেতে শ্রমজীবী অনেক মানুষ রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হাতে মুখে পানি দিয়ে ঠাণ্ডা হওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রচণ্ড গরমে ডায়েরিয়া, ঠাণ্ডাজনিত জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। 

নিম্ন আয়ের মানুষরা বলেন, তীব্র গরমের কারণে লোকজন বাসা থেকে কম বের হচ্ছে। তবুও জীবনের তাগিদে আমাদের কর্ম করতে হচ্ছে। লোকজন কম থাকায় তাদের আয়ও কম হচ্ছে।  

কৃষকরা বলেন, তীব্র গরমে ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এখন ধানের থোড় আসার সময়। এ অবস্থায় ক্ষেতে পানি দিতে না পারলে ফলন ভালো হবে না। বিদ্যুতের কারণে ঠিকমতো মেশিন চালানো যাচ্ছে না। ক্ষেতেও পানি দেওয়া যাচ্ছে না। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যুতের কারণে তাদের লেখাপড়াও ঠিক মতো হচ্ছে না। এতে তাদের পড়া লেখার ক্ষতি হচ্ছে অনেক।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘জেলায় চলতি বছরের আজ সর্বোচ্চ ৪০.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ছিল ২০ ভাগ। গত ১ সপ্তাহ ধরে জেলায় ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। এতে জেলায় মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ বয়ে চলছে। আরও দুই তিন দিন তাপদাহ অব্যহত থাকবে। এ মুহূর্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

জামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।’

ঢাকা বিজনেস/নোমান/এনই 



আরো পড়ুন