২৯ জুন ২০২৪, শনিবার



স্মার্ট শিক্ষাই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবে: শিক্ষামন্ত্রী

বাকৃবি প্রতিনিধি || ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ এএম
স্মার্ট শিক্ষাই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবে: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘সমাবর্তন একটি প্রতীকী অনুশাসন, যার মাধ্যমে বাস্তবতার মুখোমুখি হন গ্র্যাজুয়েটরা। এই সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট শিক্ষাই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবে। আর স্মার্ট নাগরিকরা তৈরি করবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’ 

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সদ্য কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য সমাবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের সামাজিক দায়বদ্ধাতা নিয়েও সচেতন করে। আমি যদি ভুল না করি তাহলে এই প্রথম বাকৃবির সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করছেন একজন কৃষিবিদ। এই বিষয়টি সমাবর্তনে ভিন্ন একটি মাত্রা যোগ করেছে। সমাবর্তনকে ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের অনেক স্বপ্ন জড়িয়ে থাকে। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আমাদের সততা, সহমর্মিতা, পরমত সহিষ্ণুতা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। এই চেষ্টাগুলো নিয়েই আমাদের দেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে।’

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এসময় তিনি বলেন, ‘কৃষির সম্প্রসারণ এবং কৃষির সবুজ বিপ্লব আজ গতি পেয়েছে কৃষিবিদদের অবদানে। কৃষিবিদদরা এখন দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধান করছে। দেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে উদ্ভাবনী বাংলাদেশ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নতির জন্য এখন বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচিত হবে। ২০৪১ সালে দেশ হবে সুখি, সমৃদ্ধ দেশ। কৃষিবিদ হিসেবে তোমাদের দায়িত্ব অনেক।’

সমাবর্তনে বাকৃবির উচ্চশিক্ষা কো-অর্ডিনেট এবং নিজ নিজ অনুষদের ডিনরা ডিগ্রি প্রদানের জন্য সভাপতির কাছে আবেদন করেন। এসময় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি মিলিয়ে মোট ৬ হাজার ৫২১ জনকে ডিগ্রি এবং ২০১ জনকে স্বর্ণপদক প্রদানের ঘোষণা করা হয়। 

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ গ্রহণের মাধ্যমে নবীন গ্র্যাজুয়েটরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন। আমাদের সব কার্যক্রম কৃষিকে কেন্দ্র করে। কৃষির সম্ভাবনা অনেক বেশি। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দেন। সেই ধারাবাহিকতায় কৃষির উন্নয়নে কৃষিবিদরা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে ধান উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য় এবং চা উৎপাদনে ৪র্থ। বর্তমানে সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক। সব প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবিলা করে আমাদের সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, উচ্চশিক্ষা কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম-১, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন ও অন্য শিক্ষকরা। 

আমান/এম



আরো পড়ুন