বিশ্ব ইজতেমাকে ইসলামি সমাজ, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মহানুভবতার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ইজতেমা বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের অপূর্ব মিলনক্ষেত্র।’ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শুরু হতে যাওয়া ‘বিশ্ব ইজতেমা’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা, অতিথিপরায়ণতা ও সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা ইজতেমায় আসা বিদেশিদের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ইসলামের উন্নয়ন, প্রচার, প্রসার এবং খেদমতে বহু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাবলিগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদকে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। তিনি কম খরচে হজ পালনের জন্য হিজবুল বাহার জাহাজ কেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠান। জাতির পিতা মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। তাঁর কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশে ইসলামের উন্নতির উদ্দেশ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সব জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদসহ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করে মসজিদের ইমামগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কুরআনের শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লাখ লাখ শিশুকে কোরআন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার প্রথম ধাপে ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং ২০-২২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: বাসস
ঢাকা বিজনেস/এনই/