শীত আর কুয়াশা জেঁকে বসেছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলিতে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূলসহ বৃদ্ধ, শিশু ও শ্রমজীবী মানুষেরা। শীতের কারণে বয়স্ক মানুষেরা ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। তারপরও জীবিকার সন্ধানে শীত উপেক্ষা করেই কাজে ছুটতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের। দোকানপাট খুলছে দেরিতে। অটোবাইক চালকরা বাইক নিয়ে বের হলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমদিকে একটু বেশি শীত অনুভুত হচ্ছিল। মাঝ খানে তেমন একটা শীত ছিল না। সকাল সকাল সৃর্যের দেখা মিলতো। কিন্তু আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) শীতের তীব্রতা ফের বেড়েছে। সৃর্যের দেখা মিলছে না। শীতের কারণে বৃদ্ধসহ ছিন্নমূল মানুষদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
অটোবাইক-চালক মো. আরাফাত হোসেন বলেন, আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই শীতের প্রকোপ বেড়েছে। আমি সকাল ৬ টারদিকে অটো বাইক নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু যাত্রী মিলছে না। শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদ উঠলে মানুষ বাজার করার জন্য বের হবেন। তখন হয়তো যাত্রী মিলবে। সেই আশায় বসে আছি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ ২৫ নভেম্বর সকাল ৬ টায় দিনাজপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ৯৪ শতাংশ।