ভৈরবে ২ ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এই সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, আউটার স্টেশনে একটি মালবাহী ট্রেন পেছন দিকে থেকে ধাক্কা দিলে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের দুটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের নিচে এখনো মানুষ চাপা পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা খান জানান, ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর পরই স্টেশনের আউটারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় মালবাহী ট্রেনটি পেছন দিকে থেকে ধাক্কা দিলে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের দুটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়।
মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল না মানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মালবাহী ট্রেনটি ‘‘সিগন্যাল না মানায়’’ এই সংঘর্ষ হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার এসিসট্যান্ট ডেপুটি ডিরেক্টর শাহজাহান সাকিদার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেন ও কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে সংঘর্ষ বাধে। এই সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। এতে প্রাণ হারান ২০ যাত্রী।’
দুর্ঘটনার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার জীবন মিয়া জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
ঢাকা বিজনেস/আজহার/এনই/