১৮ মে ২০২৪, শনিবার



দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে করতে কক্সবাজারে মাঠে থাকবে র‍্যাব

কক্সবাজার প্রতিনিধি || ২০ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:১০ এএম
দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে করতে কক্সবাজারে মাঠে থাকবে র‍্যাব


শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে করতে কক্সবাজারজুড়ে ‘বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ জোরদার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুধু কক্সবাজার শহর নয়, পুরো জেলার পাশাপাশি বান্দরবান জেলায়ও চেকপোস্ট, গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রম বাড়িয়েছে বিশেষ এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এই তথ্য জানান।

শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবারের মতো এ বছরও পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র‌্যাব। কক্সবাজারের প্রবেশদ্বারগুলোতে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রম।

শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর থেকে কক্সবাজার শহরজুড়ে চলে র‌্যাবের রোবাস্ট পেট্রোল। একই সঙ্গে পূজামণ্ডপগুলোর আশপাশে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।

ঘোনারপাড়ার সায়ন্তন বলেন, গেলো বছর ধরে দুর্গাপূজার সময় নাশকতার আশঙ্কা থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এবার প্রশাসনের নিরাপত্তা বেশ জোরদার। দেখছি, প্রতিদিনই পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও টহল দিচ্ছে এবং খোঁজ-খবর রাখছে। এটাতে স্বস্তি পাচ্ছি, এবারও নিরাপদে পূজা উৎসব উদযাপন করতে পারব।

অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, কক্সবাজারজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার দেখছি। তবে বিশেষ করে, উখিয়া ও টেকনাফে পূজামন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। কারণ, উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির রয়েছে।

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। চলবে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। তাই আগামী ২৪ অক্টোবর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এমনটা আশা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের পূজা মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি কক্সবাজার শহরের পূজামন্ডপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এসময়  নিরাপত্তার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাশকতাকারী বা অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টিকারীদের হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, কক্সবাজারে ১৫১টি প্রতিমা ও ১৬৪টি ঘট পূজা মিলিয়ে জেলায় ৩১৫টি মণ্ডপে পূজা হবে। পূজা শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে প্রতিটি পূজামণ্ডপে ২০ জন করে মোট ৩ হাজার ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন।

 ঢাকা বিজনেস/আনাম/ 



আরো পড়ুন