২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

জাবি ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২

জাবি প্রতিনিধি || ১৫ মে, ২০২৩, ১১:০৫ এএম
জাবি ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বহিরাগত দুই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্তরা হলেন- মো. রাকিব হোসেন (২৮) ও মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (২৮)। তাদের মধ্যে, মো. রাকিব হোসেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মো. শাজাহান মিয়ার ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। এছাড়া মেজবাহ উদ্দিন ঝালকাঠি জেলায় বাসিন্দা মো. মোফাজ্জেল হোসেন খানের ছেলে।

জানা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থীর পরিচিত। তার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি ও কথাবার্তার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার তারা চারজন একইবাসায় অবস্থানও করছিল। পরে গতকাল রোববার মিশুর অনুপস্থিতিতে অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীর বাসায় গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। এসময় অভিযুক্তদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর এলাকায় নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ‘রাকিব ও মেজবাহ আমার বাসায় আসলে আমি তাদের জন্য রান্না করতে যাই। তবে রান্না করার একপর্যায়ে আমি অসুস্থার কারণে বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর দেখি রাকিব আপত্তিকর অবস্থায় আছে। আমি চিৎকার দিয়ে পাশের রুমে চলে যাই। এরপর আমার বন্ধুদের ফোন দিলে তারা এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়।’

এদিকে, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা স্বীকার করেন মো. রাকিব হোসেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা খন্দকার বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। অভিযোগ ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করেছে। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

উজ্জল/এইচ



আরো পড়ুন