রাজধানীর ১৫টি কোম্পানির বাসে ই-টিকিট সার্ভিস চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, ধূপখোলা, ডেমরা, উত্তরা, আবদুল্লাহপুর ও গাবতলী রুটে চলাচল শুরু করেছে বাসগুলো। এদিকে, ই-টিকিট চালু হওয়ায় যাত্রীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও ভাড়া বেশি নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, শিগগিরই এসব অভিযোগের সমাধান করা হবে।
আলিফ পরিবহনের যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, ‘আজ থেকে শিয়া মসজিদ-বাড্ডা রুটের আলিফ বাসে ই-টিকিট শুরু হয়েছে। এটি ভালো সংবাদ। তবে, ই-টিকিট মেশিনে কিছু নির্দিষ্ট স্টপেজ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও তো স্টপেজ আছে। সেসব জায়গা থেকে আসলেও একই ভাড়া গুণতে হয়। দরকার ছিল কিলোমিটার অনুযায়ী ভাড়া হওয়া।’
আরেক যাত্রী শীমা বলেন, ‘শ্যামলি থেকে গুলশান-১-এর মোড়ে ২০ টাকা ভাড়া। কিন্তু আমি উঠছি শিশুমেলা, ৬০ ফিট থেকে। আমার ভাড়াও ২০টাকাই। তাহলে লাভ কী হলো? ই-টিকিট মেশিনে সব স্টপেজ রাখতে হবে। যেন দূরত্ব অনুয়ায়ী ভাড়া হয়।’
বাস কন্ডাক্টর রুবেল বলেন, ‘ই-টিকিট হয়েছে, ভালো হয়েছে। মালিকরা এখন আর আমাদের চোর বলতে পারবে না। তবে, যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে বলতে পারবো না। এই মেশিন সম্পর্কে বিআরটিএ জানে।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আশা করছি যাত্রীদের অভিযোগ আর থাকবে না। আমরা সব স্টপেজই মেশিনে অন্তর্ভুক্ত করবো। এখনতো চালু হলো, সব আপডেট হবে।’
এর আগে সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, এই তিন অঞ্চলের ১৫টি বাস কোম্পানির ৭১১টি বাস ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করবে।
এনায়েত উল্লাহ আরও জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় চলাচলকারী দেশের সব বাস কোম্পানিকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে। এর আগে, মিরপুর অঞ্চলে চলাচলরত সবকটি বাস কোম্পানিতে ই-টিকিটিং চালু করা হয়।
উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর প্রথমে আটটি বাস কোম্পানিতে পরীক্ষামূলকভাবে এবং পরে ১৩ নভেম্বর থেকে ওই অঞ্চলের আরও ২২টিতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
ঢাকা বিজনেস/এম