২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



বাংলাদেশকে এলএনজি দিচ্ছে কাতার, আজ চুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার || ০১ জুন, ২০২৩, ০৯:০৬ এএম
বাংলাদেশকে এলএনজি দিচ্ছে কাতার, আজ চুক্তি


তেলসমৃদ্ধ কাতার আজ (১ জুন) বাংলাদেশের সঙ্গে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‌‘বৃহস্পতিবার (১ জুন) দোহায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটা স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কাতার সফরের ফলাফল।’   

বুধবার (৩১ মে) গণমাধ্যমকে তিনি এতথ্য জানান।   

তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী আরও বলেন, ‘কাতার এনার্জি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করবে, যা কাতারের নর্থ ফিল্ড সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য দ্বিতীয় এশিয়ান বিক্রয় চুক্তি হবে।’

পেট্রোবাংলার আরেক কর্মকর্তা জানান, ১৫ বছরের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কাতার থেকে বছরে ২০ লাখ টন এলএনজি পাবে। কাতার বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ।

তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা গত কয়েক মাস ধরে কাতারের সঙ্গে একটি চুক্তির চেষ্টা করছিল। প্রধানমন্ত্রীর গত সপ্তাহের কাতার সফরের সময় এটি অগ্রাধিকারের বিষয় ছিল।’

চৌধুরী বলেন, ‘কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, যিনি এলএনজি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বুধবার (৩১ মে) দোহা যাওয়ার কথা রয়েছে। ২৩-২৫ মে দোহা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরি দেওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে বৈঠক করেন।

কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক মাস ধরে কাতার থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা চলছিল। প্রস্তাবিত চুক্তিটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। 

রয়টার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যখন এলএনজির জন্য প্রতিযোগিতা বেড়েছে তখন বাংলাদেশ-কাতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে এমন একটি সময়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হচ্ছে, যখন বিশেষ করে ইউরোপকে গ্যাস দিতে রাশিয়ান পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, এই গ্যাস মহাদেশের আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন