০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার



‘এলপিজির মূল্য সাশ্রয়ী রাখতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার || ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম
‘এলপিজির মূল্য সাশ্রয়ী রাখতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে’


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘এলপিজির মূল্য সাশ্রয়ী ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। মূল্য ও নিরাপত্তার ইস্যুসহ এলপিজি’র নীতিমালা যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া আবশ্যক।’

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘সিলিন্ডার নিয়মমাফিক ও যথাযথভাবে পরিবহণ, মজুত ও ব্যবহার করলে সিলিন্ডারজনিত দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পায়। একটি টেকসই এলপিজি’র বাজার প্রতিষ্ঠা এবং এলপিজি’র বাজার প্রসারে যত্রতত্র রিটেইলারের মাধ্যমে এলপিজি’র বিক্রি গ্রাহক বান্ধব হওয়া সময়ের দাবি। হোস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস ভাল্ভ ইত্যাদির দুর্বলতার কারণে সাধারণত গ্যাস লিক হতে পারে। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকা আবশ্যক। সিলিন্ডারগুলো নিয়মিতভাবে চেক করাও বাঞ্ছনীয়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে বাংলাদেশের এলপিজি’র বাজার ছিল মাত্র ৬৫ হাজার টন। বর্তমানে এলপিজি’র বার্ষিক চাহিদা ১৪ লাখ টনের বেশি। বিগত ১৫ বছরে দেশের এলপিজি’র ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। ২০০৯ সালে মাত্র ২ দশমিক ৫ লাখ লোক এলপিজি ব্যবহার করতো। এখন ব্যবহার করে প্রায় ৪৫ লাখ। এ সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এলপিজি’র সুবিধাভোগী। বর্তমানে প্রতিবছর এলপিজি’র বাজার প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এলপিজি’র চাহিদা ৩০ লাখ টনে উন্নীত হবে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। তিনি এলপিজি’র নিরাপদ ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোকপাত করেন।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-এর চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান (অব.), ওমেরা পেট্রোলিয়ামের হেড অব হেলথ মু. দাউদুর রহমান খান, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব স্ট্র্যাটেজি ইঞ্জিনিয়ার মো. জাকারিয়া জালাল ও জেএমআই এলপিজির জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন