শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষক প্রয়োজন। তাহলে দেশের টেকসই উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আরও বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখছে।’
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ‘ন্যানো-বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং (এনএএমই-২০২৩)’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘গবেষণা করতে হবে, উদ্ভাবন করতে হবে এবং সেটিকে বাণিজ্যিকীকরণে কাজে লাগাতে হবে। গবেষণা করার জন্য করলাম, এমন করা যাবে না। এ ধরনের সম্মেলন যত বেশি হবে, পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, তত বেশি বিজ্ঞান গবেষণায় আমরা আরো সমৃদ্ধ হতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা মানবিক বাংলাদেশে আছি। হয়তো উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের এখনো অতটা আর্থিক সক্ষমতা হয়নি। কিন্তু আশা করি, আমরা মানবিকতা বজায় রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারবো।’
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ড. জাভেদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষক ‘অ্যাডভান্স ম্যাটেরিয়ালস ফর এনার্জি, ফুড সেফটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ন্যানো ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ফটোনিকস, ন্যানো-টেকনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স, বায়ো ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস’সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১৫২টি প্রবন্ধ ও পোস্টার উপস্থাপন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা প্রবন্ধ ও গবেষণা পোস্টার উপস্থাপকদের বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। দেশ-বিদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে গবেষণার যোগসূত্র ও মেলবন্ধন তৈরির উদ্দেশ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতে এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করায় অতিথিরা আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
তাফহীমুল/এম