বাংলাদেশের বর্তমান তরুণদের মধ্যে যারা ২০০২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছেন, তাদের অধিকাংশই ব্রাজিলের ফুুটবল ভক্ত। সেই বিশ্বকাপে খেলে কাপ জিতেছিলেন রোনালদো, রোনালদিনহো, কার্লোস, কাফুসহ অনেকেই। তারপর প্রিয়দের কাতারে আসলেন কাকা, তারও অধ্যায় শেষ। এরপর আসলেন নেইমার, তিনি যেন ব্রাজিল ফুটবলের দূত হয়ে আসলেন। নৈপুণ্য দেখালেন ভক্তদের। নেইমার যেন এখন ফুটবল ভক্তদের মধ্যমণি। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনিই হয়তো আসবেন বাংলাদেশ মাতাতে।
এদিকে, ২০১১ সালে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে মেসি ঢাকায় এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচও খেলেন মেসি। মেসি এসে গেছেন, এখন যদি নেইমার ঢাকায় আসেন তা হবে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বড় আনন্দের। হঠাৎ করেই নেইমারের ঢাকা আসার কথা শোনা যাচ্ছে। আর ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টার আসতে পারেন বসুন্ধরা কিংসের আমন্ত্রণে।
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জানা যায়, নেইমারের প্রচারের কাজে যুক্ত এজেন্ট রবিন মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম সরগরম ছিল। সেই রবিন মিয়া এসেছিলেন বসুন্ধরা কিংসে। ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন তিনি।
নেইমারকে কোনোভাবে বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত বা ঢাকায় আনা যায় কি না ইমরুলের সঙ্গে সেই আলোচনা করেন রবিন। গণমাধ্যমকে রবিন বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংসের মাধ্যমে নেইমারকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করছি। প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি।’
এ ব্যাপারে কিংস সভাপতি ইমরুল বলেন, ‘নেইমারের ঘনিষ্ঠজন বাংলাদেশি। তাই রবিনের সঙ্গে নেইমারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে কোনোভাবে নেইমারকে জড়ানো বা আমাদের কোনো পণ্যের শুভেচ্ছাদূত করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী দিনে নেইমারকে আনা যায় কি না সে বিষয়েও আলোচনা চলছে। যদি সম্ভব হয় তা হবে বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে দৃষ্টান্ত।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ