বিএনপি প্রশংসা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন ও সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগকে বিএনপিসহ নাগরিক সমাজের একাংশ অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-রেড ক্রিসেন্ট ফিজিও অর্থোপেডিক পুনর্বাসন সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘যে যাই বলুক না কেন, যতই সমালোচনা করুক না কেন, কাজ করলে সমালোচনা হবে। আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করার মানসিকতা পোষণ করি। সেই কারণে আমরা মনে করি সমালোচনা করলে ক্ষতি নাই। কিন্তু অন্ধের মত সমালোচনা ভালো নয়, সবকিছুতে না বলার সংস্কৃতি এবং না বলার রাজনীতি রাষ্ট্রের জন্য ভালো নয়।’
ড. হাছান বলেন, ‘দেশের প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার মধ্যে চারটি প্রোগ্রাম আছে। তার মধ্যে একটি প্রোগ্রাম একেবারে নিম্মআয়ের মানুষের জন্য। তিনি যত চাঁদা দিবেন সরকার সমপরিমাণ চাঁদা সেখানে দিয়ে দিবে। তিনি যদি মাসে এক হাজার টাকা দেন সরকার আরও এক হাজার টাকা দিয়ে দিবে। সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার ক্ষেত্রে ও রাষ্ট্রকে মানবিক করার ক্ষেত্রে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা একটি বিরাট উদ্যোগ।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুকে নাগরিক সমাজের সদস্য, যারা কারণে-অকারণে জাতিকে জ্ঞান দেন, তারাও অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। হয়তো ক’দিন পরে দেখা যাবে এখানের মধ্যে কি ভুল আছে সেটি বের করার চেষ্টা করবে। এরা কোন কাজ করে না, অন্যে কি কাজ করে সেটির ভুল ধরে। আমি এজন্য ওদের নাম দিয়েছি ভুল ধরা পার্টি। রাত বারোটার পরে এই ভুল ধরা পার্টি টেলিভিশনে সরব হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা চালু করেছেন। এখন সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২২ প্রকার ভাতা দেয়া হয়। প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ নানা প্রকারের ভাতা পায়। আজকে মানুষের স্বপ্নকেও হার মানিয়ে শেখ হাসিনা ছিন্নমূল মানুষকে ঘর করে দিচ্ছেন।’
ঢাকা বিজনেস/এমএ/