স্বাদে কিছুটা টক-মিষ্টি সাইট্রাস ফল জাম্বুরা আমাদের সবার পরিচিত। লোভনীয় জাম্বুরা নানান পুষ্টিতে ভরপুর। অন্যান্য সাইট্রাস ফলের মতো জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি রয়েছে। টক-মিষ্টি স্বাদের দেশীয় ফলটি ছোট-বড় সকলের কাছে সমানভাবে প্রিয়। এই পরিচিত ও জনপ্রিয় ফল জাম্বুরার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।
রোগ প্রতিরোধ
জাম্বুরায় থাকা ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিকেল থেকে কোষে রক্ষা করে। এটি শরীরে আসা জীবাণু ধ্বংস করে। ফ্যাগোসাইটেসিস প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
লো সোডিয়াম ও উচ্চ পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর জাম্বুরায় রয়েছে এই দুই উপাদান। পটাসিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে রক্তনালীর টান প্রতিরোধ করে এবং রক্তনালি প্রসারিত করে।
ত্বক কোমল করে
প্রাকৃতিক ফলমূলে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল আছে। এগুলো আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ কারার পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করে। জাম্বুরা আমাদের ত্বক কোমল করে। ত্বকের বলিরেখা কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
জাম্বুরা আন্ত্রিক, অগ্ন্যাশয় ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর লিমোনয়েড নামক উপকরণ ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে। এর আঁশ মলাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
পানিশূন্যতা রোধ করে
জাম্বুরাতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আছে। এই উপাদানগুলো পেশী সংকোচন রোধ করতে সহায়তা করে। পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম অভাবে পেশী সংকুচিত হয়ে যায়। জাম্বুরা এই সংকোচন রোধ করে শরীরের পানির অভাব পূরণ করে।
মজবুত হাড়
আমাদের দেহে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়ামের অভাব হলে অস্টিওপোরোসিসসহ হাড়ের নানাবিধ রোগ দেখা দেয়। জাম্বুরাতে এই খনিজ উপাদানসমূহ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে
টক জাতীয় ফলমূলগুলো ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। কারণ এগুলোতে হাই সুগার থাকে না। বরং এতে বিদ্যমান এসিড রক্তের শর্করা লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ক্ষত সারাতে
অনেকের ভুল ধারণা আছে যে টক জাতীয় ফল খেলে ক্ষত সারাতে দেরি লাগে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে টক জাতীয় ফল ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ক্ষত সারাতে দ্রুত সাহায্য করে। এই ক্ষত হতে পারে অপারেশনের ক্ষত, কেটে যাওয়ার ক্ষত, পড়ে গিয়ে সৃষ্ট ক্ষত ইত্যাদি।
ওজন কমাতে
জাম্বুরাকে রয়েছে প্রচুর আঁশ। এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত জাম্বুরা গ্রহণে শরীরের ওজন কমে।
হজম সমস্যায়
জাম্বুরাতে রয়েছে প্রচুর আঁশ। এটি খাদ্যের সঠিক পরিপাকে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দূর করে। এর আঁশ পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়া সচল রাখে। সঠিক মাত্রায় পরিপাক রস নিঃসৃত করে। ফলে খাদ্যের সর্বোচ্চ পরিপাক হয় এবং হজমের সমস্যা দূর করে।
ঢাকা বিজনেস/এন