দিনাজপুরের হিলিতে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের শুঁটকির দাম। প্রজাতি ভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এক মাস আগে যে মলা মাছের শুঁটকি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি, সেই শুঁটকি এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। ৪০০ টাকার চিংড়ির শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, তারা চট্টগ্রাম এসব শুটকি আনেন। সেখান থেকেই বেশি দামে কিনেছেন। এরপর রয়েছে পরিবহন খরচ। এ কারণেই বেড়েছে শুটকি মাছের দাম।
রোববার (৬ আগস্ট) হিলি বাজারে শুঁটকি কিনতে আসা মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন তরকারিতে শুঁটকি মাছ দিলে স্বাদ বাড়ে। তাই মাঝে মাঝে শুঁটকি কিনি। শুঁটকি তো আর বেশি কেনার দরকার হয় না। ক্রেতারা ১০০ গ্রাম ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত কিনে থাকে। কিন্তু এ বছর শুঁটকির দাম খুব বেশি। একমাস আগেই মলা মাছের ১০০ গ্রাম শুটি কিনেছিলাম ৬০ টাকা দিয়ে। আর আজ কিনলাম ৯০ টাকায়। ১০০ গ্রাম কিনতেই ৩০ টাকা বেশি লাগলো।’
আরেক ক্রেতা আবু জাফর বলেন, ‘আমি নিম্নআয়ের মানুষ। যেভাবে মাছ, মাংসের দাম বাড়ছে, তাতে কেনার মতো আয় আমার নেই। তাই বিভিন্ন তরকারিতে শুঁটকি দিয়ে মাছ, মাংসের চাহিদা পূরণ করি। কিন্তু সেই শুঁটকির দামও বেশি। আগে ১০০ গ্রাম চিংড়ির শুঁটকি কিনতাম ৪০ টাকা দিয়ে। আর আজ কিনলাম ৬০ টাকায়।’
হিলি বাজারের শুঁটকি বিক্রেতা আব্দুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘এ বছর তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় নদী-খালবিলে পানি নেই। মাছও নেই। তাই যারা ছোট ছোট মাছ ধরে স্থানীয়ভাবে শুঁটকি তৈরি করতেন, তারা এবার শুঁটকি তৈরি করতে পারছেন না।’
আব্দুর রহমান আরও বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে শুঁটকি না পাওয়ায় আমাদের চট্টগ্রাম থেকে আনতে হচ্ছে। মোকামেই প্রতিকেজি মলা মাছের শুঁটকি কিনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর চিংড়ির শুঁটকি কিনতেই পড়ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। তারপর রয়েছে দূরের পরিবহন খরচ। তাই শুঁটকির দাম বেড়েছে। আর হিলিতে মলা ও চিংড়ির শুঁটকি ছাড়া অন্য মাছের শুঁটকির তেমন চাহিদা নেই। তাই আমরা অন্য মাছের শুঁটকি আনি না।’
ঢাকা বিজনেস/এনই