অগ্রহায়ণের শেষ ও পৌষের শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত এবং ঘন কুয়াশা। দিনের বেলায় তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও বিকেল থেকে হিমেল ঠাণ্ডা কনকনে হাওয়ার কারণে জনজীবনে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা ও বাড়তে থাকে । এতে করে শিশু ও বয়স্কদের শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। অনেকে ঠাণ্ডা কাশি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। চিকিৎসকেরা জানান পৌষের শুরুতে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম-সিলেট এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে চলাচলরত যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে দূরের কোথাও কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে চালকেরা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছেন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত বাস চালক সাজু মিয়া জানান, মহাসড়কের ২০ গজের মধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনকে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই আগে থেকেই হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে চলাচল করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এছাড়া ছোটখাটো যানবাহন গুলোকে কুয়াশার কারণে দূর থেকে দেখা যায় না। হঠাৎ করে হার্ট ব্রেক করলে গাড়িকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। ফলে দুর্ঘটনা অনির্বার্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজের চেষ্টায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানতার সাথে চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানান এই চালক।
অপরদিকে সিএনজি অটোরিক্সা চালক জীবন মিয়া জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দূরের সবকিছু ঝাপসা মনে হয়। কিছুটা আন্দাজ করে চলাচল করতে হচ্ছে । বড় যানবাহন গুলোর হেডলাইট জ্বালানো থাকলে দূর থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায়। অন্যথায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো: সুমন ভূইয়া জানান, শীতজনিত কারণে ঠান্ডা লেগে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছেন। রোগীদের বেশিরভাগই জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া জনিত কারণে আসছেন। তিনি জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে রোগীর সংখ্যা ও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কার্য্যালয় না থাকায় শীতের প্রকৃত তথ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে জেলার আশুগঞ্জে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়েছে। তবে রাতে তাপমাত্রা আরও কম থাকে।