২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর কাশিপুর দেওয়ানবাড়ি এলাকায় একটি অটোরিকশার শো-রুমে বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় দেওয়ানবাড়ি এলাকার স্বপন মিয়ার মালিকানাধীন মুচকান ভবনের একতলায় অবস্থিত মুচকান মটরসে এই বিস্ফোরণ হয়। ভবনটি চারতলা। পঞ্চম তলায় নির্মাণ কাজ চলছে।
ভবন মালিকের আত্মীয় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আলী আহমেদ জানান, এ ভবনটির একতলায় মুচকান মটরস ও রফরফ মটরস নামের দু’টি অটোরিকশার শো-রুম রয়েছে। সকাল সোয়া ৯টায় তিনি ভবনের পাশে তার দোকান খুলছিলেন। হঠাৎ মুচকান মটরস থেকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। বিস্ফোরণে মনে হচ্ছিলো কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। বিস্ফোরণে মুচকান মটরস সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর দেয়াল ধসে পড়ে। পিলার বাঁকা হয়ে গেছে। পাশের রফরফ মটরসও একই রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশে পাশের প্রায় পঁচিশটি বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে বাড়ি ঘরের ভেতরে চলে গেছে। মনে হচ্ছে যেন বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রাস্তায় চলমান অটোরিকশাও উল্টে গেছে শব্দে। বিস্ফোরণে মুচকান মটরস’র বাড়ির লোকজনসহ, আশেপাশের পথচারী, অটোরিকশা ড্রাইভার, নির্মাণ শ্রমিকসহ কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার ব্রিগেডের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, ‘মুচকান ভবনের নিচ তলায় মুচকান মটরসে অটোরিকশার শো-রুমে আনুমানিক পঞ্চাশটি অটোরিকশা ছিল। প্রচুর ব্যাটারি ছিল। এসিড ছিল। যেগুলো দিয়ে হয়তো ব্যাটারি রি-পেয়ার করা হতো। এখানে চার্জও দেওয়া হতো ব্যাটারিতে। এসব থেকে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণে নিচ তলার চারদিকের দেয়াল ধসে পড়ে। বিল্ডিংয়ের কিছু অংশ খালের ওপরেও আছে। সে অংশ কিছুটা দেবে গেছে। অটোরিকশাগুলো বিস্ফোরণে ছিটকে পড়ে। ফতুল্লা ফায়ার সার্ভিস, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসসহ ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট এখানে কাজ করে। পুরো বিল্ডিংটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা এ ভবনে কাউকে যেতে মানা করছি। এখানে অটোরিকশার পার্টস কিনে এনে এসেম্বল করে বিক্রি করা হতো।’
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরহাদ বলেন, ‘বিস্ফোরণে আহত হয়ে হাসপাতালে মোট ১৬ জন আসেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত কেউ আসেনি বা হাসপাতালে এসে মারা যায়নি।’
ডাক্তার জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাদের পাঠানো হয়েছে তারা হচ্ছেন- হাসান (৩০), কাওসার (২০), মোহাম্মদ রানা (৩৫), টিটু (৭০), আব্দুর রাজ্জাক (৪৫)। এছাড়া আহত বাকিরা হচ্ছেন- শাহেদা (৫০), আলী আকবর (২০), আশক আলী (২০), মিনু বেগম (৫০), আবুল হোসেন (৭৫), সাত্তার (২০), নাসিমা (৫০), মোর্শেদা বেগম (৫৫), রবিউল (২১), তাহের দেওয়ান (৫০), শাহানাজ (৩৮)।
ঢাকা বিজনেস/এম
