২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



মাইকিং করে শুঁটকি বিক্রি: দামে কম, খুশি ক্রেতা

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম
মাইকিং করে শুঁটকি বিক্রি: দামে কম, খুশি ক্রেতা


দিনাজপুরের হিলিতে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা থেকে আসা ২ ব্যক্তিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইকিং করে শুঁটকি মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। কিনছেনও ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, তাদের এলাকায় এসব শুঁটকি মাছের তেমন চাহিদা নেই। তাই তারা বিভিন্ন এলাকায়  মাইকিং করে শুঁটকি বিক্রি করেন। ক্রেতারা বলছেন, হিলিতে শুঁটকি মাছের দাম বেশি। তাই তারা অটো থেকে কম দামে শুঁটকি কিনছেন। 

সোমবার সকালে হিলি গোড়াউন মোড়ে শুঁটকি এসেছেন আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন তো আর পাওয়া যায় না। হঠাৎ চোখে পড়লো। তাই ৫০০ গ্রাম শুঁটকি ২০০ টাকা দিয়ে কিনলাম। এই শুঁটকিই হিলি বাজারে কিনতে গেলে ৪০০ টাকা লাগবে।’ 

আরেক ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শুঁটকি তো তরকারি না। শুঁটকি দিয়ে অন্য তরকারিকে সুস্বাদু করে তোলা হয়। বাড়িতে সবাই শুঁটকি পছন্দ করে। তাই আমিও ১০০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম কিনলাম। শুঁটকি দেখতে ভালোই মনে হচ্ছে। রান্না করার পর বোঝা যাবে কেমন স্বাদ।’

শুঁটকি-বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটো আমাদের নিজের। দুই ভাই মিলে সিএনজিতে ২৫০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রাম শুঁটকি পলিথিনের প্যাকেটে ভরে মাইকিং করে বিক্রি করে বেড়াই। প্রতিকেজি শুঁটকি বিক্রি করছি ৪০০ টাকা কেজি দরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষার সময় এলাকায় জেলেদের কাছ থেকে এসব মাছ কিনে নিজেরাই শুকানোর পরে এখন বিক্রি করছি। যেহেতু অটোরিকশা নিজেদের। তাই শুধু গ্যাস তুললেই হয়।’ 

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সবাই নিজেদের জন্য শুঁটকি তৈরি করেন। তাই এলাকায় শুঁটকির চাহিদা নেই।  এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে বিক্রি করি। বেচাকেনাও মোটামোটি ভালো হয়। যা লাভ হয়, তাতেই আমাদের সংসার চলে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন