বাংলা নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ২০০২ সালে ‘ইউ গট দ্য লুকস’ অনুষ্ঠানে মি. বাংলাদেশ হয়ে শোবিজে পা রাখেন এই অভিনেতা। এরপর গেলো দুই দশকে তিনি হয়ে উঠেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন। ছোটপর্দায় তিনি বড় তারকা। টিভি নাটকে তিনি পোস্টার বয়। আজ তার জন্মদিন।
শরীয়তপুর জেলায় ১৯৮৩ সালের ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার মা ফিরোজা আহমেদ রাজশাহী বেতারের একজন শিল্পী ছিলেন। তার নানা রাজশাহী বেতারের একজন উপস্থাপক ছিলেন। বাল্যকাল থেকেই তার শোবিজে আগ্রহ ছিল। পূরণও করেছেন সেই স্বপ্ন। কোনো নাটকে তার উপস্থিতি মানেই দর্শকের বাড়তি আগ্রহ।
আজ অপূর্বর ছেলে আয়াশেরও জন্মদিন। সন্তানের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদযাপন করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন অপূর্ব। জানালেন কটি দিন বিশ্রামে থাকবেন তিনি। কোরবানির ঈদের জন্য গরু কেনা নিয়েও তাকে একটু ব্যস্ত থাকতে হবে। তবে দেশে ফেরার পর আর কোনো নাটকের কাজ করেননি অপূর্ব। এবারের জন্মদিন কেমন কাটবে, কীভাবে কাটবেসহ নানান প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘সত্যিই আগে যখন পুরো পরিবার একসঙ্গে ছিলাম, তখন আসলে জন্মদিনের আনন্দটাই অন্যরকম ছিল। এখন আসলে ওই মজাটা বা আনন্দটা হয় না। এর মধ্যে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি, ছোট ভাইকেও হারিয়েছি। জন্মদিন এলেই যে তাদের কথা মনে হয়, এমনটি নয় আসলে। তাদের কথা সব সময়ই মনে পড়ে। তবে এটা সত্যি, জন্মদিন এলে আব্বুকে, ছোট ভাইকে খুব মিস করি। তারা থাকলে হয়তো জন্মদিন অনেক আনন্দের হয়ে উঠত। তবুও জীবন কেটে যায়। সব মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। আমিও সেভাবেই যাচ্ছি।’
নাটকে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভালো ভালো গল্পের নাটকে কাজ করার চেষ্টা করছি। গল্পে কম্প্রোমাইজ করি না আমি। কারণ দর্শক এখন আগের চেয়ে আরও বেশি সচেতন। তাই গল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি আগের চেয়ে আরও বেশি সিরিয়াস। নির্মাতাদের আমি সব সময়ই বলি, ভালো গল্প নির্বাচন করতে হবে। গল্প ভালো হলে দর্শক তা উপভোগ করবেন।’
এবারের ঈদে যেসব বিশেষ নাটকে অপূর্বকে দেখা যাবে সেগুলো হচ্ছে বি ইউ শুভর ‘মিস্টার অলস,’ এসআর মজুমদারের ‘হৃদয় আকাশে’, ইরাউল রাফাতের ‘কাছের মানুষ’, হামেদ হাসান নোমানের ‘মিথ্যা বলা বারণ’, মাশরিকুল আলমের ‘সারপ্রাইজ’, রুবেল হাসানের ‘লাভ ট্রিপ’, রাকেশ বসুর ‘শেষ বসন্ত’, ‘লাস্ট নাইট’, সৈয়দ শাকিলের ‘সুইট মোমেন্ট’, ‘দোলনা ঘর’, নাজমুল রনির ‘রাতের শেষে’সহ আরও বেশকিছু নাটক।
ঢাকা বিজনেস/এন/