২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



বিশেষ প্রতিবেদন
প্রিন্ট

কক্সবাজারে লবণের পর ধানেও বাম্পার ফলন

তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজার || ৩০ মে, ২০২৩, ১১:৩৫ এএম
কক্সবাজারে লবণের পর ধানেও বাম্পার ফলন


কক্সবাজারে লবণের পর এবার বোরো ধানেও বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লবণচাষিরা যেমন লাভবান হয়েছেন, তেমনি ধানচাষিদের ঘরেও উঠেছে কাঙ্ক্ষিত ফসল। লবণ ও ধানের ভালো মূল্যও পাওয়া গেছে। ফলে ধান ও লবণচাষিদের ঘরে ঘরে চলছে আনন্দের উৎসব।  

জেলার ৮ উপজেলার মাঠ থেকে বোরো ধান সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, তেমন বড় কোনো ঝড় বৃষ্টি ও দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলনের গত বছরের তুলনায় এবার একর প্রতি ২-৫০ মণ করে ফলন বেশি হয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল অতিরিক্ত উৎপাদন করেছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৫৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার কম ৫৪ হাজার ৫৭৭ হেক্টরে চাষ হয়েছে। কারণ অনেক কৃষি জমিতে বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা তৈরি হয়েছে। 

হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান মিলে জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন হিসেবে সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।

এর মধ্যে সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে চকরিয়া উপজেলায় ৭০ হাজার ৭১৪ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে পেকুয়া উপজেলায় ২৯ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন। এরপর মহেশখালী উপজেলায় ২৮ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন, সদর ও ঈদগাঁও উপজেলায় ২৬ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন, রামু উপজেলায় ২৬ হাজার ২৯১ মেট্রিক টন,উখিয়া উপজেলায় ২৫ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন,টেকনাফ উপজেলায় ৭ হাজার ৭৮৪ মেট্রিক টন ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ৬ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন।

কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী অফিসার আশীষ কুমার দে বলেন, ‘এ বছর বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল অন্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনার আওতায় জেলার কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এবার বোরো মৌসুমে হাইব্রিড ধানে ও উপশী জাতের ধানে প্রায় ৫ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ধান চাষে সব কৃষকের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকিমূল্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা দ্রুত সময়ে ফসল রোপণ ও কর্তন করতে পারছেন এবং খরচের দিক থেকেও তারা লাভবান হচ্ছে।’

মো. কবির হোসেন বলেন,   ‘যত বেশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধি হবে ততো বেশি কৃষক লাভবান হবেন। তাই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার পার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩ টন করে বোরো ধানের ফলন হয়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই

 



আরো পড়ুন