২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



বিজয়নগরে পাকা লিচুর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ

আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া || ২১ মে, ২০২৩, ০৯:০৫ এএম
বিজয়নগরে পাকা লিচুর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে লালচে গোলাপি বর্ণের অসংখ্য লিচু ঝুলছে। ফলে লিচুর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। উপজেলার বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এই উপজেলার লিচু সুস্বাদু হওয়ায় দেশজুড়ে সুনামও রয়েছে। 

জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর আগে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় লিচুর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। কম শ্রমে লিচুর উৎপাদন ভালো হয় বলেই এখানকার চাষিরাও আগ্রহী। ফলন হওয়ার পর থেকে দুই দফায় লিচু বিক্রি হয়। গাছে ফুল আসলে প্রথম দফায় কৃষকদের কাছ থেকে গাছ কেনেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারপর ফল ধরলে দ্বিতীয় দফায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, আদমপুর, কালাছড়া, মেরাশানী, সেজামুড়া, কামালমুড়া, হরষপুর, মুকুন্দপুর, নোয়াগাঁও, অলিপুর, কাশিনগর, ছতুরপুর, বক্তারমুড়া, রূপা, শান্তামুড়া, কামালপুর, কচুয়ামুড়া, গোয়ালনগর, ভিটিদাউপুর ও পত্তনে ব্যাপক লিচুর চাষ হয়েছে।

তবে বিজয়নগর উপজেলার প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই একটি করে লিচুর গাছ আছে। যাদের বাড়িতে একটু জায়গা আছে, তারাই লিচুর গাছ লাগান। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে পাটনাই, বম্বে, চায়না থ্রি, চায়না-টু ও এলাচি। উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে পরিচিত আউলিয়া বাজারে সবচেয়ে বেশি লিচু পাওয়া যায়। পাশাপাশি সিংগারবিল, হরষপুর, চম্পকনগর বাজারে বিক্রি হয় অধিকাংশ লিচু। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফেনী ও ঢাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে লিচু কিনে নিয়ে যান। 


উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর, সেজামুড়া ও কামালমুড়ার বিভিন্ন বাগানে ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়ে মালিকরা বাগানের পরিচর্যা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

হরষপুর গ্রামের লিচু চাষি আবুল হাসেম বলেন, ‘আমার ৫০টি লিচু গাছ আছে। এবার খুব ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর ৪ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’ 

কাশিমপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিক সুরুজ মিয়া বলেন, ‘বাগানে লিচু এসেছে প্রচুর। বিক্রি গতবারের তুলনায় অনেক বেশি হবে।’ 

কামালপুর গ্রামের বাগান মালিক কাউছার ভূইয়া বলেন, ‘আমার ৪টি বাগানে ১৭০টি গাছ আছে। আশাবাদী এ বছর ১২ লাখ টাকা লিচু বিক্রি করতে পারবো।’

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, ‘উপজেলায় এ বছর ৪৩০ হেক্টর জায়গায় লিচুর আবাদ হয়েছে। বাগান আছে ৯০০টি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা লিচু বিক্রি হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন