২৯ জুন ২০২৪, শনিবার



সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ || ২৭ এপ্রিল, ২০২৩, ১১:০৪ পিএম
সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা


সবচেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন হয় সুনামগঞ্জ জেলায়। জেলার ১২টি উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ধান জাতীয় খাদ্য ভাণ্ডারে যুক্ত হয়। জেলায় এবার বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩৯৫ হেক্টর। তবে, ২ লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ধানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জেলায় যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়, তাতে সারাদেশের ১৭ দিনের ভাতের জোগান হয় বলে জানায় সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এবার এ জেলায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদনের আশা তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ছোট-বড় ১৪৪টি হাওরে এই সময়ে গত বছর বৃষ্টি, ঝড়, তুফান আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়, তবে এ বছর উল্টো। হাওরে পাকা বোরো ধানের মৌ মৌ গন্ধ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। মেঘ মুক্ত রৌদ্রময় আকাশে বোরো ধান হাওর থেকে কেটে খলায় নিয়ে এসে শুকাতে পেরে কৃষকদের মুখে হাসি দেখা গেছে। হাওর পাড়ের যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান কাটা মাড়াইয়ের উৎসব দেখা যায়।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩৯৫ হেক্টর, তবে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এবছর ১৩ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ধান পাওয়া যাবে। গত বছর বন্যার কারণে ৮ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছরে আমন ধান থেকে ২ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। গত বছর আউশ ধান থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।

এদিকে, কৃষক সাদেক আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘হাওরের ঝাঙ্গালগুলো (সড়ক) দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় কাটা ধান বাড়ি নিয়ে আসতে খুবই কষ্ট করেন কৃষকরা। সরকার এ সমস্যা দূর করলে তারা চিন্তামুক্তভাবে হাওরের ধান ঘরে তুলতে পারবেন।’

হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা তোজাম্মিল হক নাসরুম জানান, ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ এবারও পাউবো নির্ধারিত সময়ে শেষ করেনি। আর তাড়াহুড়ো করে করতে গিয়ে প্রতিটি বাঁধই দুর্বল হয়েছে। এতে পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে। 

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘জেলার উৎপাদিত ধান সারাদেশের ১৭ দিনের ভাতের জোগান হয়। এর মধ্যে বোরো ধান ১৩ দিন, আমন ও আউস ধান মিলে ৪ দিন। আউশ ধান অর্ধেক দিন ও আমন ধান সাড়ে ৩ দিন খাবার জোগান হয়। প্রতি কেজি বোরো ধান বাজার মূল্য ২৮ টাকা হলে এবার ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদন হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ 



আরো পড়ুন