২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ার্টারেই থাকছেন রেল কর্মকর্তারা

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২৭ এপ্রিল, ২০২৩, ০৩:৩৪ এএম
ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ার্টারেই থাকছেন রেল কর্মকর্তারা


দিনাজপুরের হিলিতে ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ার্টারে বসবাস করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। হিলিতে আছে রেলস্টেশন, রেলপথ, ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের দুটি অফিস ও একটি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। সেই বৃটিশদের সময় রেলস্টেশন স্টাফ, রেলপথ স্টাফ ও ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের অফিসারসহ কর্মচারীদের জন্য নির্মাণ করা হয় কোয়ার্টার। কর্মচারীদের অভিযোগ, সেই কোয়ার্টারগুলোর এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। বসবাসের অযোগ্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে স্টাফদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। 

সরেজমিনে ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

হিলি রেলপথ অফিসের ওয়েম্যান মো. উজ্জল হোসেন বলেন, ‘বর্ষার সময় কোয়ার্টারের ছাদ চুঁয়ে পানি পড়ে। উপরে ও নিচে পলিথিন দিয়ে কোনোমতে পরিবার নিয়ে থাকতে হচ্ছে। কোয়ার্টারের উপরের জলছাদগুলো নষ্ট হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। তাই শীতের সময়ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এভাবেই কষ্ট করে দিন কাটাতে হচ্ছে।’ 

নৈশ্যপ্রহরী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ছাদ দিয়ে পানি পড়ার পাশাপাশি কোয়ার্টারগুলো নিচু হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি ভেতরে ঢুকে পড়ে। তখন ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়। খাটের উপর ব্যবহৃত জিনিসপত্র তুলে রাখতে হয়। সন্তানদের শোবার জায়গা থাকে না। কোয়ার্টারগুলো মেরামতের জন্য কয়েকবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার গুরুত্ব দিচ্ছে না।’ 

হিলি রেলপথ বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমি দুই বছর আগে হিলিতে যোগদান করেছি। তখন থেকেই দেখছি দ্বিতল বাসভবনটির ভুতুড়ে অবস্থা। বড় বড় গাছপালায় ভরে গেছে ভবনটি। দিনের বেলায় ঢুকতেই ভয় লাগে। জানালা, দরাজা কিছুই নেই। শুধু দাঁড়িয়ে আছে ভবনের দেয়ালগুলো। শুনেছি দরজা, জানালাগুলো নাকি অনেক আগেই চুরি হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে পরিবারসহ ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয়।’ 

হিলি রেলওয়ের কোয়ার্টারের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিতে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ৫০টির মতো কোয়ার্টার আছে। আর প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার জন্য একটি কোয়ার্টার আছে। কোয়ার্টারগুলোর সংস্কারের প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন