ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯০০ জন। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ভারতের রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে নেমেছেন ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্সের (এনডিআরএফ) সদস্যরা। রয়েছে উড়িষ্যায় ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও (ওডিআরএএফ)। উদ্ধারকাজে ভারতের বিমানবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিকে, আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, দুপুর ৩টা ১৫ মিনিট নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকাল সোয়া ৫টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।
রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, ‘করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল। পথে লাইনচ্যুত হয়ে আরেকটি ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। ওই ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা যাচ্ছিল।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এখনো অনেকে ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজের স্থানীয় লোকজনও হাত লাগিয়েছেন। রাতের অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে বালাসোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন। আহতদের রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় লোকজন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নিতে রয়েছে ১১৫টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স। তাদের বালাসোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে রাজ্যের সচিব ও অন্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এম