১৮ মে ২০২৪, শনিবার



শিক্ষককে পেটানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাবনা সংবাদদাতা || ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:৪২ এএম
শিক্ষককে পেটানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন


ছেলেকে ভর্তি করাতে না পেরে পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জেলা শহরে মানববন্ধন করেছেন।

অভিযুক্ত ওই অভিভাবক হলেন পাবনা পৌর শহরের গোবিন্দা মহল্লার বাসিন্দা শেখ মাসুম। স্কুলটির অবস্থানও একই এলাকায়। 

এর আগে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বাড়ি থেকে বের হলে তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পেটান অভিভাবক শেখ মাসুম।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুলের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম, শামসুল আলম, ইমরান কবির, মাহবুব আরা ও কারুন নাহার প্রমুখ। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চলতি বছর বিদ্যালয়টিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ওই অভিভাবকের ছেলে লটারি প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও নাম না ওঠায় ছেলেটি স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি। ফলে কয়দিন ধরেই তিনি ছেলেকে ভর্তির জন্য স্কুলে ঘুরছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন অনিয়ম করে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এতেই অভিভাবক তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হন। বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষক আলাউদ্দিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটান অভিভাবক শেখ মাসুম।

আহত শিক্ষক আলাউদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যালয়টির সভাপতি জেলা প্রশাসক নিজে। সভাপতির অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তির কোনো সুযোগ নেই। আমি ওই অভিভাবককে শুধু এটুকই বলেছিলাম। এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হন। জোরপূর্বক ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে বলেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় আমার পায়ে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়।’

মানববন্ধন থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একজন শিক্ষকের ওপর এ ধরনের হামলা মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে ওই অভিভাবককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরও বড় কর্মসূচি দেবে।’

এবিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাইরের এলাকার মানুষ হওয়ায় তিনি অভিযোগ দিতে রাজি হচ্ছেন না। তারপরও পুলিশের জায়গা থেকে অভিযুক্ত অভিভাবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এবিষয়ে অভিযুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভয়ে তিনি পলাতক রয়েছেন।

আরিফ/এম



আরো পড়ুন