১৮ মে ২০২৪, শনিবার



শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || ১৮ এপ্রিল, ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লী


রোজা প্রায় শেষের দিকে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। আর  এই মুহূর্তে জমে উঠেছে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লী। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল, চণ্ডী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কেস্টপুর নতুনপাড়া, ঘারিন্দা, কালিহাতী উপজেলার বল্লা ও রামপুরা তাঁতপল্লী ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।  

প্রবীণ তাঁতী সচীন রাজবংশী বলেন, ‘আমরা মহাজনদের কাছ থেকে সুঁতা, তানা এনে কারিগর দিয়ে শাড়ি বানাই। শাড়ি তৈরি করে মহাজনদের দেই। তারাই বিক্রি করেন। নারীদের তাঁতের শাড়ির প্রতি আলাদা দৃষ্টি তো রয়েছেই।'

তাঁতপল্লীর বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী সোরহাব হোসেন বলেন, 'টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির মূল ব্যবসা ঈদ-পূজাকে কেন্দ্র করে। সারাবছর ব্যবসাকে ধরে রাখা হয়। ঈদ বা পূজাকে ঘিরে সারাবছরের উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি শেষ হয়। রমজান চলছে। আশা করছি, ঈদের আগে বিক্রি বাড়বে।'


কারিগর সুমন বসাক বলেন, 'ঈদ এলে সময় পাওয়া যায় না, এত ব্যস্ত থাকতে হয়। সারা দিন তাঁতে বসে কাটে। অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম হয়। এ সময় আমরাও বেশি কামাইয়ের জন্য বেশি শাড়ি তৈরির চেষ্টা করি। অনেক রং ও ডিজাইনের শাড়ি আমরা বানাই। তাঁতের শাড়ি মানুষ পছন্দ করে বেশি।'  

কারিগররা জানান, তাদের প্রতি শাড়ি তৈরিতে একটা নির্দিষ্ট হারে মজুরি দেওয়া হয়। তবে দক্ষতার ওপর নির্ভর করে মজুরি কম-বেশি হয়ে থাকে।

টাঙ্গাইল তাঁতশিল্প মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, 'ঈদ এলে টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ির কদর অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। প্রতিবছর শাড়ির ডিজাইনে বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। তাঁতের শাড়ির ডিজাইন ও গুণগত মান অনেক ভালো। এটা দেশের অন্যতম কুটির শিল্প।' এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

ঢাকা বিজনেস/নোমান/এন/



আরো পড়ুন