চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শূরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গেছে ছয় উইকেটে। হাইব্রিড পদ্ধতিতে প্রথম ম্যাচ ছিল দুবাইতে। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচটি হবে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে।
আজ হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যাবে বাংলাদেশ। তখন ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’র সান্ত্বনা নিয়ে ফিরতে হবে শানআত বাহিনীকে। তাই এটাকে বলা চলে বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই- বাঁচা মরার লড়াই। আজ জিতলে সেমিতে যাওয়ার আশা বেঁচে থাকবে টাইগারদের। তবে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের যে গ্রাফ- তাতে আশাবাদি হতেও ভয়। ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে, বাংলাদেশ মাঠে নামেই হারার জন্য। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষের রান রেট বাড়ানো বা মুফতে পয়েন্ট পাওয়ার একটা উপলক্ষ্য হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
আশার কথা হলো- ইনজুরি কাটিয়ে আজকের ম্যাচে খেলবেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে ক্রিকেট ম্যাচে একজন কতটুকুই বা কি করতে পারে। অনিশ্চয়তার ক্রিকেটে শূণ্য রানেও ফিরতে হতে পারে তাকে। ভালো লড়াই করতে হবে পুরো দলকে, একাদশকে। যদিও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যেসরকম শরীরি ভাষাও নেই। তবে অনুপ্রেরণার জায়গাও আছে- গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও হৃদয় এবং জাকের আলীর লড়াই ক্রিকেট প্রেমীদের মনে রাখার মতো উপাখ্যান।
প্রথম ম্যাচে বেশকিছু ভুলও ছিলো বাংলাদেশের। দুবাইয়েরেআন্ডার প্রিপেয়ার্ড উইকেটে টস জিতে আগে বোলিং নেয়া উচিত ছিল। স্পিনিং উইকেটে তিন পেসার না নিয়ে তিন স্পিনার রাখা উচিত ছিল। ভারতীয়রা গতির কারণে নাহিদ রানাকে ভয় পেলেও তাকে একাদশে রাখা হয়নি। আজ ফিরতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে বাদ যেতে পারেন তরুণ পেসার সাকিব। রিয়াদকে জায়গা দিতে সরে যেতে হতে পারে সৌম্যকে। ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডার ছিলো পুরো ব্যর্থ। আজ দায় এড়াতে তাদের কিছু একটা করতেই হবে।
সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে নিউজিল্যান্ড অনেক শক্তিশালী দল। তবে খেলাটার নাম ক্রিকেট বলেই কিছু বলা যায় না আগে থেকে। যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে যে কোনো দিন। পিন্ডির উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ। এখানে প্রচুর রান আসবে। এজন্য স্পিনাররা এখানে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। কারণ নিউজিল্যান্ড স্পিনে কিছুটা দুর্বল এটা সবারই জানা।