দিনাজপুরেরর হিলি বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রি কমছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গত রোজায় যে পরিমাণ ভোজ্য তেল বিক্রি হয়েছে, এবার তার অর্ধৈকও বিক্রি হয়নি। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সরকার নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের জন্য প্রতিমাসে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ( টিসিবি)-এর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সোয়াবিন তেল বিক্রি করায় শহরের মানুষ আর ভোজ্য তেল কিনছেন না। আর গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্রচুর সরিষা চাষ করায় তারাও সয়াবিন তেল কেনেন না। সোমবার ( ১০ এপ্রিল) বিকেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ভোজ্য তেল বিক্রেতা সাব্বির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর রোজায় ভোজ্য তেল বিশেষ করে সোয়াবিন ও পামওয়েল তেলের চাহিদা বেশি থাকে। তবে এবার ভাজা-পোড়ার দোকানদাররা কিছু পামওয়েল তেল কিনলেও সয়াবিন ও সরিষার তেল বিক্রি নেই বললেই চলে।’
জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত বছর সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা লিটার দরে কিনতে হয়েছিল। তাই এবার নিজের ১ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। সরিষার বিক্রি পাশাপাশি সরিষা ভাঙিয়ে নিজের খাবারের তেল মজুদ করে রেখেছি। তাই এবার আর বাজার থেকে ভোজ্য তেল কিনতে হচ্ছে না।’
পৌর শহরের বাসিন্দা মো. কেতাব উদ্দিন বলেন, ‘সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে স্বল্পমূল্যে ৪ লিটার করে তেল দিচ্ছে। সঙ্গে দিচ্ছে ২ কেজি করে মসুরের ডাল ও ১ কেজি করে চিনি। এতে আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে। তাই ভোজ্য তেল নিয়ে আর চিন্তা করতে হচ্ছে না। মাসে যে ৪ লিটার তেল পাচ্ছি, তা দিয়ে পুরো মাস পার হচ্ছে।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ডা. মমতাজ সুলতানা বলেন, ‘এবার হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌর সভাসহ ৩ ইউনিয়নে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের আগ্রহ বেশি থাকায় ২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে তারা চাষ করেন।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুর-এ-আলম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলায় ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ১০ হাজার ৫৭১ জনের প্রত্যেককে ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ১ কেজি করে চিনি দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোজার মাসে আরও যোগ হয়েছে ১ কেজি করে ছোলা।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/