ভারতের ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক যাত্রী। রোববার (৪ জুন) দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা নিশ্চিত করেছেন, হাসপাাতালে প্রায় ৯০০ আহত লোককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। গত ২০ বছরের মধ্যে এটি ছিল ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, সিগন্যালের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার পর পরই জরুরি সেবার সদস্যদের আগেই স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ শুরু করে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীও যোগ দেয়।
বালাসোরের জরুরি কন্ট্রোল রুমের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে সব লাশ ও আহত যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু সারঙ্গি বলেছেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনাস্থল ও আহতদের দেখতে গিয়ে বলেছেন, দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রেল মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।
জানা গেছে, কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওড়িশার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। চেন্নাইগামী শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটির কয়েকটি বগি একটি পণ্যবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে।
ঢাকা বিজনেস/এম