শরীরে অতিরিক্ত ওজন ভালো ফল বয়ে আনে না। ভাবছেন ওজন ঝরাবেন, কিন্তু বুঝে ওঠার আগেই অতিরিক্ত মেদ আপনার শরীরে হানা দিচ্ছে। কী করবেন তখন? আগে বদলাতে হবে আপনার নিভৃত অভ্যাসগুলো।
চলুন জেনে নেই, যেসব কারণে আপনি মুটিয়ে যাচ্ছেন-
১. ভুল খাবার নির্বাচন
প্রতি বেলায় এমন খাবার বাছছেন নাতো যা আপনার ওজন বাড়ার মূল কারণ। অনেক সময় নিজের অজান্তেই মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়ে যায়, দেখতে রঙিন কিন্তু কোন পুষ্টিগুণ নেই। আবার হাই ক্যালরিযুক্ত খাবারেও পুষ্টিগুণ কম থাকে। তখন সেটি শরীরের জন্য খুব বেশি উপযোগী হয় না। যেমন: হাই সোডিয়ামযুক্ত খাবার, ফার্স্ট ফুড, যে কোন ধরণের প্রোসেস ফুড এগুলো আপনার শরীরকে নীরবে ক্ষতি করছে। রাতারাতি ওজনও বাড়িয়ে ফেলছে।
২. অপর্যাপ্ত চলাফেরা
সারাদিন আপনার চলাফেরার ঘাটতিও ওজন বাড়ার ঘাতক হতে পারে। এইযে খেয়েই বিছানায় চলে যাওয়া। সারাদিন শুয়ে বসে মোবাইলে স্ক্রলিং কিংবা রিমোট হাতে একবার সোফায় একবার বিছানায় হেলেদুলে বেড়াবার বদঅভ্যাসও আপনাকে ওজন কমতে দেবে না। মেটাবলিজম কমতে থাকবে ধীরে ধীরে। বিশেষজ্ঞদের হিসাবমতে, অন্তত ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার স্টেপ আপনাকে দিনে হাঁটতে হবে।
৩. খাবারে আবেগীভাব
খাবারের আবেগ ঝেড়ে ফেলতে হবে। ‘ফুড ইমোশন’ ওজন বাড়ানোর বন্ধু হয়ে কাজ করে। আপনার ওজন কমানোর জার্নিতে এই চিন্তাধারা বদলে ফেলতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগ হবে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তা নানাবিধ মানসিক অসুখ। চলতিপথে আপনার হাতব্যাগের পকেটে চকোলেট কিংবা চিপসের প্যাকেট নেয়া বন্ধ করতে হবে। ছোট ছোট অভ্যাস বদলে নিলেই আপনি ফিট।
৪. অপর্যাপ্ত ঘুম
রাতে জাগলে ওজন বাড়ে এটা সবারই জানা। কিন্তু কেন বাড়ে? কারণ রাতে ক্ষুধা বাড়ার হরমোন আপনাকে বার বার ইঙ্গিত দিতে থাকবে খাওয়ার জন্য। আর আপনি খাওয়ার জন্যই ধাবিত হবেন। এই সিস্টেমটিই আপনাকে ওজন বাড়ানোর অনুসঙ্গ হয়ে কাজ করবে। তাই রাত জাগা নয়। রাতে ৭- ৯ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে।
৫. চিনির অদলবদল
আপনি সরাসরি চিনি খাচ্ছেন না কিন্তু চিনিযুক্ত খাবার খাচ্ছেন, তাহলে? অফিসের ব্রেকে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় আপনার হাতে থাকছে নানা রকম জুস, স্মুদি, শেক। এগুলো আপনার শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়াচ্ছে, মেটাবলিজম কমাচ্ছে আর তাতে ওজন পই পই করে বাড়ছেই। তাই খেয়াল রাখবেন জুস খেলে তাতে চিনি মেশানো যাবে না। অর্থাৎ খাবারের তালিকা থেকে চিনিকে একেবারেই ‘না’ বলতে হবে।
ওজন কমানোর যাত্রায় ভুল এই অভ্যাসগুলোর পরিবর্তন আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে।