আমাদের আশেপাশে বা পরিচিত মহলে অনেকেই আছেন যারা হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। অ্যাজমা রোগীদের ব্যবহার করতে হয় ইনহেলার। বছরের অন্যান্য সময়ে এ নিয়ে কোনো সমস্যা না হলেও রমজানে ইনহেলার ব্যবহার করবেন কি না তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। অনেকেই আবার রোজায় ইনহেলার ব্যবহারের বিধান জানেন না। তাদের জন্যই আমাদের আজকের এই আয়োজন।
শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য মুখের ভেতরে ইনহেলার স্প্রে করতে হয়। স্প্রে করার সময় ওষুধটি গ্যাসের মতো দেখা গেলেও বাস্তবিক পক্ষে তা দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। আর তরল ওষুধ মুখের ভেতর স্প্রে করলে রোজা ভেঙে যাবে। অর্থাৎ, ইনহেলার নেওয়া যাবে না। ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে।
তবে, মুখে স্প্রে করার পর না গিলে যদি থুতু ফেলে দেওয়া হয়, তা হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। এভাবে কাজ চললে বিষয়টি অতি সহজ হয়ে যাবে। এতে শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি রোজা ভঙ্গ হবে না।
বিশ্বের অনেক মুসলিম স্কলার এ বিষয়ে এক সভায় একমত হয়েছেন যে, যদি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন-অ্যাজমা ও সিওপিডি সমস্যা থাকে এবং সে যখন রোজা রাখে তখন ইনহেলার আকারে নেওয়া অ্যাজমা ও সিওপিডি ওষুধগুলো রোজা ভঙ্গ করে না।
ঢাকা বিজনেস/এন/