ব্রাজিলের অ্যামাজনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। অক্সিজেনের অনেক বড় অংশের জোগান দেয় অ্যামাজন। কিন্তু এই অ্যামাজন রেইন ফরেস্টের বৃক্ষ নিধনের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, অ্যামাজনের বৃক্ষ নিধনের পরিমাণ ২০২২ সালের তুলনায় গত মাসে ১৪ শতাংশ বেড়েছে। গত মাসেই মোট ৩৫৬ বর্গকিলোমিটার বন নিধনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনা পৃথিবীর জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য চরম হুমকির আভাস দিচ্ছে। খবর রয়টার্স।
বন নিধনের ঘটনায় বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে ব্রাজিলের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা সরকার। একই ঘটনা ঘটেছিল ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সময়েও।
জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসেন লুলা দা সিলভা। ক্ষমতায় এসে অবৈধভাবে বন উজাড় বন্ধের কঠোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। সরকারি তথ্যমতে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অ্যামাজনের বৃক্ষ নিধন বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
ব্রাজিলের স্থানীয় পরিবেশবাদী সংস্থা ক্লাইমেট অবজারভেটরির প্রধান মার্সিও অ্যাসট্রিনি বন উজাড়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘অ্যামাজন রক্ষায় সরকারি কর্তৃপক্ষের যথাযথ কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। বনভূমি কমে যাওয়ার হার সেটিই প্রমাণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন সরকারের এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। পরিবেশগত অপরাধ দমন করতে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, বন উজাড়ের হার বেড়ে যাওয়া দেশটির সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে। বন উজাড় বন্ধের ঘোষণা দিয়েই ক্ষমতাসীন হয়েছে লুলা দা সিলভার প্রশাসন।
ঢাকা বিজনেস/এন/