মানবজাতির
একটি স্বভাবই হলো প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। তাই মানুষ সবসময় প্রতিযোগিতা
পছন্দ করে। বারবার রেকর্ড তৈরি করা এবং ক্রমাগত সেগুলো ভেঙে নতুন রেকর্ড
তৈরি করা তার স্বভাব। স্থাপত্যের ইতিহাস, বিভিন্ন শৈলী, বিল্ডিং ও বিল্ডিং
তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণগুলো হয়ে আছে এই প্রতিযোগিতার সাক্ষী।
সম্প্রতি বাণিজ্যিক আকাশচুম্বী অট্টালিকাগুলো নিরলসভাবে উঁচু থেকে উঁচুতে নির্মিত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এরকমই ৫টি টাওয়ার নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।
চিত্তাকর্ষক
কাঠামোটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হতে ছয় বছর সময় নেয়। অবশেষে ২০১০ সালের ৪
জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হয়েছিল এই বুর্জ খলিফা। স্থপতি ছিলেন
অ্যাড্রিয়ান স্মিথ, মার্শাল স্ট্রাবালা ও জর্জ জে. ইফস্টাথিউ।
টাওয়ারটি
অতুলনীয় বিজ্ঞান, আদর্শের একটি অনন্য ও নিখুঁত মিশ্রণ। দুবাইয়ের বুর্জ
খলিফা হলো একটি মিশ্র-ব্যবহারের আকাশচুম্বী অট্টালিকা; যা একটি টাওয়ারের
জন্য সর্বাধিক সংখ্যক বিশ্ব রেকর্ড ধারণ করে। এটি সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার,
সবচেয়ে উঁচু ফ্রিস্ট্যান্ডিং টাওয়ার, সর্বাধিক সংখ্যক গল্প রয়েছে।
সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ ডেক রয়েছে। রয়েছে সর্বোচ্চ ফ্লোর। আর আছে সবচেয়ে
লম্বা সার্ভিস লিফট। টাওয়ারে অসংখ্য হোটেল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র,
বিলাসবহুল বাসস্থান, অফিস, রেস্তোরাঁও রয়েছে।
একটি
স্কাই লবি রয়েছে, যা একটি প্যানোরামিক প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে যেকোনো
কার্যকলাপকে প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়। স্থাপত্যের উচ্চতা ৭০০ মিটার কিন্তু
টাওয়ারটি এর ডগা থেকে ৭০৭.৫ মিটার পরিমাপ করে। এটির মাটির নিচে ৫টি এবং
মাটির ওপরে ১২৬টি তলা রয়েছে। টাওয়ারের পেশাগত এলাকা মাত্র ৫০৮ মিটার।
কুয়ালালামপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে ১৯ একর জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে এই টাওয়ারটি । বিল্ডিংটি তিনটি ধাপে বিকশিত হয়েছিল।
ভবনটিতে রয়েছে ৭ তলা বিশিষ্ট মল। এটি মোট ১১৮টি বিশিষ্ট।
২০১১
সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার
হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টোকিও স্কাইট্রি বিশ্বের দশটি উঁচু
টাওয়ারের মধ্যে রয়েছে। টাওয়ারটি একটি ল্যান্ডমার্ক ও পর্যটক আকর্ষণ
হিসেবে কাজ করে। চতুর্থ তলায় দর্শনার্থীদের জন্য টিকিট কাউন্টার রয়েছে।
স্কাইট্রিতে একটি শপিং সেন্টার, পর্যবেক্ষণ ডেক ও রেডিও টাওয়ার রয়েছে। ভবনটির ডিজাইন করেছিলেন বিখ্যাত ভাস্কর কিচি সুমিকাওয়া।
ঢাকা বিজনেস/এনই/