২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



রমজানে ফাঁকা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজার || ২৬ মার্চ, ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম
রমজানে ফাঁকা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত


চলছে রমজান মাস। চাপ নেই পর্যটকের। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে হাজারের অধিক পর্যটকের দেখা মিলছে না। পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল-মোটেল ও কটেজগুলোতে প্রায় বুকিং শূন্য। একইসঙ্গে ক্রেতা না থাকায় বেশির ভাগ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে মেরামত ও নতুন করে সাজ-সজ্জার কাজ শুরু করেছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলো।

সৈকতের কলাতলী মোড়ে দেখা যায়, দুপুরে দু’একজন পর্যটক ছাড়া, প্রায় ফাঁকা বিচ। বিকাল ৪টার দিকেও সুগন্ধা বিচের চিত্রও ছিল একই রকম।

কক্সবাজার শহরের কলাতলী ওয়ার্ড বিচের ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী তৌহিদুর ইসলাম বলেন, ‘রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারে একদম পর্যটক নেই। গত তিনদিনে একটি কক্ষও ভাড়া দিতে পারিনি। তবে এ সময়ে রুমগুলোর মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ঈদের দিন থেকে পর্যটক আসতে শুরু করবে।’

একই কথা বলেছেন হান্ডি রেস্তোরাঁর মালিক নুরুল আলম সিকদার। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কক্সবাজারে একদম পর্যটক নেই। অন্য বছর কিছুটা পর্যটক থাকলেও এবারে একদম নেই। ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

হোটেল আইল্যান্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল কবির পাশা বলেন, ‘পুরো রমজান মাস পর্যটক তেমন আসবে না। ফলে বুকিং প্রায় শূন্য থাকবে সব কক্ষ। এখন হোটেলকে নতুনরূপে তৈরির উপযুক্ত সময়। তাই হোটেলের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে শুরু করে বাহ্যিক স্থানগুলোকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। এবার কিন্তু পর্যটক শূন্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে সব ধরনের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে বুকিং শূন্য থাকছে প্রায় দিন।’

শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়, রমজানের কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই এবং কাপড়ের দোকানগুলো প্রায় বন্ধ রাখা হয়েছে।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন