২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



আখের গুড়ের চাহিদা বেড়েছে হিলিতে

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২৫ মার্চ, ২০২৩, ০৭:৩৩ এএম
আখের গুড়ের চাহিদা বেড়েছে হিলিতে


রোজায় দিনাজপুরের হিলিতে আখের গুড়ের চাহিদা বেড়েছে। আগে বিক্রেতারা গুড়ের হাঁড়ি সামনে নিয়ে অলস সময় পার করলেও এখন বিক্রি বেড়েছে।  তারা বলছেন, গুড়ের চাহিদা বাড়ে সাধারণত শীত মৌসুমে বেশি। তখন বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরিতে গুড়ের ব্যবহার বেশি হয়। আর এখন রোজার সময়। ইফতারিতে শরবতসহ মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে গুড়ের প্রয়োজন হয়।  

শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে হিলিতে কথা হয় আখের গুড় কিনতে আসা মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আখের গুড় নিতে এসেছি। বাড়িতে কেউ চিনির শরবত পছন্দ করে না। তাই প্রতিবছর আখের গুড় কিনতে হয়। ৫ কেজি গুড় কিনলাম ১১০ টাকা কেজি দরে। আশা করি, ৫ কেজি গুড় দিয়ে ১৫ দিন পার হবে। পরে হয়তো আরও ৫ কেজি নিতে হতে পারে।’ 

আরেক ক্রেতা মো. হযরত আলী বলেন, ‘আখের গুড়ের শরবত চিনির গুড়ের চেয়ে ঠাণ্ডা। সারাদিন রোজা থাকার পর আখের গুড়ের তৈরি শরবত দিয়ে ইফতার করলে বেশি তৃপ্তি পাই। এরমধ্যে লেবুর রস দিলে আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। যা চিনি দিয়ে তৈরি করা শরবতে পাওয়া যায় না।’

হিলি বাজারের আখের গুড় বিক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আজ  (২৪ মার্চ) প্রথম রোজার দিন তো। তাই বেচাবিক্রি একটু বেশি। যে যার সামর্থ্যমতো গুড় কিনছেন। ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫ কেজি পর্যন্ত কিনছেন ক্রেতারা। যারা সামর্থ্যবান, তারা একবারে বেশি করে কিনছেন। যারা মধ্যবিত্ত, তারা ৫০০ গ্রাম বা ১ কেজি করে কিনছেন। তবে বেচাবিক্রি আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। আমরা  প্রতিকেজি আখের গুড় ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আশা করি, রোজার মাসে ব্যবসা মোটামুটি ভালোই হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন