২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



বিশেষ প্রতিবেদন
প্রিন্ট

বাড়ছে শিশুর ঠাণ্ডাজনিত রোগ, হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ০৭:৪২ পিএম
বাড়ছে শিশুর ঠাণ্ডাজনিত রোগ, হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল


শীতের শুরুতেই টাঙ্গাইলে সর্দি, কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন শতাধিক শিশুরোগী ভর্তি হচ্ছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে। স্বজনদের অভিযোগ, সিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। ডাক্তাররা বলছেন, ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। তাই এই সমস্যা হচ্ছে। 

হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রোগীর বাড়তি চাপ। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। আর এই বাড়তি রোগীর চাপে অনেক শিশুকেই থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে। এতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার (১২ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪৩ সিটের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ১১৬ জন। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ভর্তি হয়েছিলেন ১১৭ জন। হাসপাতালের ওয়ার্ড ছাড়িয়ে রোগী থাকতে হচ্ছে বারান্দায়ও।

আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা বলেন, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরেও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। এতে আমাদের নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। 

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান নুরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‌‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। আর এই সময়ে ঠাণ্ডাজনিত নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। এর প্রভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। শিশুদের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নিলেই তাদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে দূরে রাখা সম্ভব। আর নবজাতকদের ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়ে। এতে ঠাণ্ডাজনিত রোগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। এতে রোগীদের থাকতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে  রোগ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।’

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে  ৮ শতাধিক শিশু ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভর্তি হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অন্য বয়সের আক্রান্তের সংখ্যা কম।’

 ঢাকা বিজনেস/এম/এনই/



আরো পড়ুন