২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



দাম বাড়লো মুরগি-ডিম-পেঁয়াজের

মোহামদ তারেকুজ্জামান || ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০২:০৩ পিএম
দাম বাড়লো মুরগি-ডিম-পেঁয়াজের


ব্রয়লার মুরগি, সোনালি কক, ফার্মের ডিম ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া, কাঁচামরিচসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যও আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।  শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধাানীর কয়েকটি কাচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

কাঁচামরিচ আগের ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা গোল বেগুন, কালো গোল বেগুন ও লম্বা গোলবেগুন বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে  ৫০, ৬০ ও ৭০ টাকায়। আগের সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। করলা ও উস্তা বিক্রি হচ্ছে  আগের সপ্তাহের দামে, যথাক্রমে ১০০ টাকা ও ৮০ টাকা। প্রতি পিস ফুল কপি বাজারভেদে ৩০  থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম  বেড়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ  বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।  এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। আলুর দাম অপরিবর্তিত আছে।  বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। টমেটো ও পাতা কপি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৪০ টাকা ও ২৫ টাকা। আগের সপ্তাহেও একই দাম ছিল। তবে লেবু ও মূলার দাম কমেছে। প্রতি হালি বড় লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫০ টাকা। আর মূলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। আগের সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। আগের সপ্তাহে পটল ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

এদিকে প্রতি কেজি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এর আগের সপ্তাহেও যা একই দামে বিক্রি হয়েছে। তবে রসুনের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ১২০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আগের সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ১১০ ও ১৩০ টাকয়। আদা আগের সপ্তাহের মতোই দেশি ১৪০ টাকা ও  চায়না ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট লবণ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।  চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। আগের সপ্তাহেও একই ছিল। 

জিরার দাম কমেছে। বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬৪০ টাকা।  প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা লিটার দরে। আগের সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল।  

মিরপুরের ছাপরা মসজিদ কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি শাহাদাৎ হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বেশিরভাগ নিত্যপণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবার রমজান উপলক্ষে দাম বাড়লেও এবার তেমন বাড়েনি। অন্যান্য বারের মতো এবার রমজানের আগে মানুষ নিত্যপণ্য কম স্টক করেছে।’

এদিকে, ব্রয়লার লাল ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। লেয়ার কক আগের সপ্তাহে ২৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই দামে এখনো বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি ককের দাম বেড়েছে। আগের সপ্তাহে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন প্রতি কেজি সোনালি কক বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়।  গরুর মাংসের দাম একই আছে। ৭৫০ টাকায় গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর বড়বাগ কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে এসেছেন মো. একরাম হোসেন। তিনি ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘সব পণ্যেরই আগে থেকেই দাম বেড়েছে। দাম তেমন কমেনি। নিত্যপণ্য কিনতে এসে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মাছ, মাংস, সবজিসহ সব নিত্যপণ্যের দাম শুনে মানুষ দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘খাশির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। আগের সপ্তাহে ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত খাশির মাংশ বিক্রি হয়েছিল।‘

উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. বায়জিদ শেখ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘মানুষ কেথায় যাবে? কী খাবে? সবখানে দাম চড়া। এগুলো বলে লাভ নেই। আমাদের কষ্ট কষ্টই থাকবে।’

কাওরান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কালাম শেখ। ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘দেশি ও ভারতীয়; উভয় পেঁয়াজেরই দাম বেড়েছে।। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ  প্রতি কেজি ছিল ৩২ টাকা। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন